ডাকাতির পরে মায়ের কোলে খুদে কৃত্তিকা। —নিজস্ব চিত্র
রাতে খাওয়া সেরে দরজা খুলে বেরিয়েছিলেন বাড়ির কর্তা। সেই সুযোগে হুড়মুড় করে ভিতরে ঢুকে পড়ে চার দুষ্কৃতী। হাতে রিভলবার, বোমা, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। শুক্রবার রাতে সিউড়িতে বাড়ির মাস ছয়েকের শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠপাট চালাল ওই দুষ্কৃতীরা।
সিউড়ির কাপড় ব্যবসায়ী কালীচরণ দাসের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা ধরে বাড়ি তছনছ করে বেশ কয়েক হাজার টাকা ও কয়েক ভরি গয়না নিয়ে চম্পট দেয় মুখ ঢাকা ওই দুষ্কৃতীরা। নাতনি কৃত্তিকার মাথায় বন্দুক ধরায় তাঁরা বাধা দেওয়ার সাহস করেননি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরখানেক ধরে শহরে চুরি-ছিনতাই হচ্ছে। কোনও ঘটনারই কিনারা নেই।
সিউড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাজানোপল্লিতে দোতলা বাড়ি প্রাক্তন কর্মী ইসিএল কালীচরণবাবুর। স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিকে নিয়ে থাকেন। তিনি জানান, ব্যবসার জন্য বাড়িতে সব সময় নগদ বেশ কিছু টাকা রাখা থাকে। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীরা বাইরের পাঁচিল টপকে ঢুকে অপেক্ষায় ছিল। এক বার উঠোনের দরজা খুলতেই তারা ঢুকে পড়ে। তাঁর কথায়, ‘‘নাতনি তখন মায়ের কোলে ছিল। ভিতরে ঢুকেই ওরা তার মাথায় বন্দুক ধরে। তার পরে আমাদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার পরে অবাধে লুঠ করে।’’ কালীচরণবাবু জানান, দুষ্কৃতীরা চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে তাঁরা চিৎকার করেন। পড়শি স্মৃতিকণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ চেঁচামেচি শুনে ছুটে যাই আমরা!’’ গোটা ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত বলে জানান প্রতিবেশীরা।
বাসিন্দারা জানান, দিন দশেক আগে এক বৃদ্ধার বাড়িতে লুঠপাট হয়। তার কিছু দিন আগে এক পুলিশকর্মীর বাড়িতে চুরি হয়। এক বছরে এমন গোটা দশেক ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের দাবি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই দুষ্কৃতীরা সাহস পাচ্ছে। জেলার পুলিশকর্তারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।