পাঠ: মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচনের এখনও দেরি আছে। কিন্তু, এখনই ‘ভোট হয়ে গিয়েছে’ বলে দাবি করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল!
রবিবার তারাপীঠে ছিল জেলা কমিটির সাধারণ সভা। পঞ্চায়েত নিয়ে আলাপ-আলোচনা শোনার পরে সে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সভার শেষে অনুব্রত বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতির নাম পরে বলে দেব।”
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুব্রত বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ব্লক প্রেসিডেন্টকে বলবো, সামনে ভোটার লিস্ট। এখানে মিটিং হল, আর বাড়ি চলে গেলাম তা করবেন না। অঞ্চল প্রেসিডেন্টদের তড়িঘড়ি দু’দিনের মধ্যে ব্লক মিটিং ডেকে ভোটার লিস্টটা ভালো করে করুন। এই ভোটার লিস্টেই পঞ্চায়েত হবে।’’ নলহাটি পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে হার কেন সে নিয়ে এ দিনও আলোচনা হয়। দল সূত্রে খবর, হারের তদন্তে চার জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দুবরাজপুরের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়কে। তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হচ্ছেন সাঁইথিয়া পুরসভার পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত এবং দুবরাজপুর পুরসভার পুরপ্রধান পীযুষ পাণ্ডে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ সিংহ।
এ দিন জেলা কমিটির সাধারণ সভাতেই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে নলহাটি পুরসভার পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানের নাম ঘোষণা করলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাশা মতোই নলহাটি পুরসভার নতুন পুরপ্রধান হলেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ। উপপুরপ্রধান ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত তহিদ সেখ। আগামী ৩০ অগস্ট পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানরা শপথ গ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে বীরভূম জেলা কমিটির সাধারণ সভা হলেও পশ্চিম বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, গুসকরা থেকেও ব্লক নেতৃত্ব, বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। কেতুগ্রামের বিধায়ক তথা কাজল শেখের দাদা শেখ শাহনাওয়াজ দলের মূলস্রোতের মধ্যে থেকেই দলের সংগঠনকে মজবুত করার জন্য কর্মীদের বার্তা দেন।
আশিসবাবু বলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে লড়াই শুরু করতে হবে। কেমন করে আমরা নিষ্কন্টক সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি, সমস্ত অঞ্চল দখল করতে পারি সে সম্পর্কে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে।’’