বিরোধ ভুলে বৈঠকে অনুব্রত এবং কাজল

দলীয় নেতাদের আকচাআকচি বন্ধ করতে বেশ কিছু দিন ধরেই বার্তা দিচ্ছেন তিনি। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে, আরও এক বার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা ছিল— দলে কোনওরকম ‘বিশৃঙ্খলা’ বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৩
Share:

দলীয় নেতাদের আকচাআকচি বন্ধ করতে বেশ কিছু দিন ধরেই বার্তা দিচ্ছেন তিনি। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে, আরও এক বার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা ছিল— দলে কোনওরকম ‘বিশৃঙ্খলা’ বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

দলনেত্রীর সেই বার্তাই কি মিলিয়ে দিল তাঁদের? শনিবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কাজল শেখের বৈঠকের পরে তৃণমূলের জেলা নেতাদের মধ্যে এ প্রশ্ন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

শুধু বিরোধীরা নন, দলের নেতা-কর্মীরাও জানেন, বীরভূমে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আসল ‘প্রতিপক্ষ’ নানুরের নেতা কাজল শেখ। বর্ধমানের কেতুগ্রামের দলীয় বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের ভাই কাজল শুধু ঘোষিত অনুব্রত বিরোধী নন, দলের জেলা সভাপতি সম্পর্কে ঘনিষ্ঠদের কাছে বহু বার বিরূপ মন্তব্যও করেছেন তিনি। আর দিন কয়েক আগেও কাজল সম্পর্কে অনুব্রতর উক্তি ছিল, ‘সমাজবিরোধী।’

Advertisement

এ দিন ওই দলীয় কার্যালয়ে শেখ শাহনওয়াজ, বিধায়ক গদাধর হাজরা, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের সঙ্গেই ছিলেন অনুব্রত এবং কাজল। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের আলাচনায় পাশাপাশি বসে তাঁদের হাসি মুখে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। তাহলে কি দুই জেলা নেতার দূরত্ব মুছে গেল?

এ দিন বৈঠক শেষে কাজল বলেন, ‘‘আগে আমাদের মনোমালিন্য ছিল। সে সব মিটে গিয়েছে। আমি নিজে শহিদ পরিবারের ছেলে। তৃণমূল করছি, করব।’’ আর অনুব্রত বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। কোনও গণ্ডগোল নেই।’’

বিরোধীরা অবশ্য মনে করছেন, ভোট আসছে, সেই সূত্রেই দুই প্রতিপক্ষের সাময়িক সমঝোতা হল।

দলের একাংশও মনে করছে, এই সমঝোতো নিছকই লোক দেখানো। তাঁদের কথায়, ‘‘সাপে-নেউলে কি মিলমিশ হয়!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement