বর্ষণমুখর: বৃষ্টির মধ্যেই চলছে মহামিছিল। দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার সিউড়ির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
একের পর এক তোপ। সবেরই ‘টার্গেট’ বিজেপি। সোমবার সিউড়িতে মহামিছিলের পর এমন ভাবেই বিরোধী শিবিরের দিকে আক্রমণ শানালেন অনুব্রত মণ্ডল।
মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘কৃষকেরা ইউরিয়া সার পাচ্ছেন না। তা সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের চাষিরা আত্মঘাতী হচ্ছেন। আর উনি মেদিনীপুরে আসছেন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে। ’’
রবিবার রামপুরহাটে মহামিছিলের পরে এ দিন সিউড়িতে মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সিউড়ি মহকুমার প্রতিটি ব্লকের নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ গিয়েছিল, যত বেশি সংখ্যক লোক মিছিলে আনতে হবে। এ দিন বিকেলে সিউড়ির চাঁদমারি মাঠ থেকে বের হওয়া মিছিলে তৃণমূলের দাবিমতো ৭০-৭৫ হাজার লোক ছিল কিনা, তা স্পষ্ট হয়নি। তবে বিপুল কর্মী-সমর্থক তাতে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, একাধিক বিধায়ক, জেলার নেতারা।
মিছিলের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিতে খানিকটা হলেও ছন্দপতন হয়। জেলা স্কুলের মাঠে মিছিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে থাকা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ের কাছেই মিছিল শেষ করা হয়। ভিজে গিয়েছিলেন অনুব্রতও।
পোশাক পাল্টে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই ফের মেজাজে তিনি। নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘শুনছি নাকি প্রতিটি বিধানসভায় ওঁরা লোক পাঠাচ্ছে। তৃণমূল ভয় পায় নাকি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পায় না। ২০১৯ সালে ৪২টি আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল।’’ রবিবারের কথায় রেশ টেনে তিনি ফের এ দিন জানান, উন্নয়ন দেখতে না পেলে আগামী ভোটে তৃণমূলের কর্মীরা হাত ধরে তা সবাইকে দেখিয়ে দেবেন।