Anubrata Mondal

‘ভীষণ যন্ত্রণা, ব্যালান্স পাচ্ছি না’, আদালতে জানালেন অনুব্রত, শুনে কী বললেন বিচারক?

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে জামিনের জন্য আবারও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে বললেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৭:৩৫
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।

আদালতে শরীর খারাপের কথা বলে জামিনের আর্জি জানালেও প্রতি বারই তা খারিজ হয়েছে। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে জামিনের জন্য আবারও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে বললেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার তিহাড়ে বন্দি তৃণমূল নেতাকে আসানসোলের আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কলকাতা হাই কোর্ট জামিন দিলে তবেই তিনি দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেবেন। পাশাপাশি, অনুব্রতের ভাল চিকিৎসার করানোরও আশ্বাস দেন বিচারক।

Advertisement

বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয় আদালতে। বিচারক প্রথমেই অনুব্রতের সঙ্গে কথা বলেন।

বিচারক: অনুব্রতবাবু, কিছু বলার আছে?

Advertisement

অনুব্রত: শরীর ভাল যাচ্ছে না।

বিচারক: চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?

অনুব্রত: নিয়ে যাচ্ছে।

বিচারক: ওখানে তো ভাল চিকিৎসা হয়।

অনুব্রত: জামিনের ব্যবস্থা করুন স্যর।

বিচারক: মহামান্য হাই কোর্ট আপনার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। আগে ওখানে জামিন পান। তার পর এখানে দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা জেল কর্তৃপক্ষকে আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছি ইতিমধ্যেই।

অনুব্রত: শরীরে খুব যন্ত্রণা। ব্যালান্স পাচ্ছি না।

বিচারক: বুঝতে পারছি। আগেও বলেছি, আবারও বলে দেব আপনার চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে।

অনুব্রতের সঙ্গে কথা বলার পরেই তাঁর এককালের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারক। গরু পাচার মামলায় ধৃত সহগলও বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা গয়না ফেরতের আবেদন নিয়ে শুনানি হয়েছে বুধবার। সিবিআই-ও সহগলের কিছু গয়না ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বাজেয়াপ্ত করা গয়নার তালিকা আদালতে পেশ করেন। জানান, সহগলের কাছ থেকে মোট ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি গয়না ফেরত দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে ৭০ হাজার টাকার সোনার গয়না। আর একটি ১৭ হাজার টাকার রুপোর গয়না। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, যে গয়নাগুলির বৈধ রসিদ রয়েছে, সেগুলিই ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অনেক গয়না রয়েছে, যেগুলির কোনও রসিদ নেই, আবার থাকলেও তা ভুয়ো। সেই সব গয়না ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রত এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করতে চেয়েছে সিবিআই। বিচারক তার অনুমতি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন