প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী কার্যকলাপ শুরু করতেই তাঁরা কলকাতা থেকে এসেছিলেন— মাওবাদী সন্দেহে গোয়ালতোড় থেকে ধৃত চার জনকে জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশের একাংশ আরও জানাচ্ছেন, যাঁরা এক সময় মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন, কিন্তু পরে নানা কারণে সরে এসেছেন, এমন যুবকদের বোঝানোই এই চার জনের লক্ষ্য ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘গোয়ালতোড় থেকে ধৃতেরা ফের মাওবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। বৈঠকও করেছিল। আমরা বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছি।’’
ধৃত সব্যসাচী গোস্বামী, সঞ্জীব মজুমদার, টিপু সুলতান ও অর্কদীপ গোস্বামীকে মঙ্গলবার ফের গড়বেতা আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী চিন্ময় চক্রবর্তী জানান, এসিজেএম ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এক সময় গোয়ালতোড় ও আশেপাশের এলাকায় মাওবাদী সক্রিয়তা ছিল। স্থানীয় বহু যুবকই সেই সময় মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। এখন তাঁদের অনেকে আত্মসমর্পণ করেছেন, অনেকে রাজনীতিই ছেড়ে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এই প্রাক্তনীরাই ছিল সব্যসাচী, সঞ্জীবদের লক্ষ্য। তাঁদের বুঝিয়ে ফের মাওবাদী কার্যকলাপে ফেরাতে ওই ৪ জন কলকাতা থেকে গোয়ালতোড়ে এসেছিলেন বলে তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত। মাওবাদী ও জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা তিন বার গোপনে বৈঠক করেছেন। গোয়ালতোড় ও বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় এই বৈঠক হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সব বৈঠকে আর কে কে ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ দিন গড়বেতা আদালতে কড়া পুলিশি পাহারায় ধৃতদের নিয়ে আসা হয়। ২৩ নভেম্বর হাজিরার সময় পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এপিডিআর-সহ তিনটি সংগঠনের কর্মীরা। এ দিন তাই আগাম সতর্ক ছিল পুলিশ। ধৃতদের গাড়ি থেকে নামিয়ে কড়া পাহারায় আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিনও ওই সংগঠনগুলির কর্মীরা এবং ধৃতদের পরিজনেরা আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন।