সিন্ডিকেটের দাপটে আসানসোল শহরে এ বার আটকে গেল পুরসভার জলাধারের নির্মাণকাজ। ফের অভিযুক্ত সিন্ডিকেট। তবে আগের বারের মতো এ বারও পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পুলিশের কড়া পাহারায় কাজ শুরু হয়েছে জলাধারের।
জলের সমস্যা মেটাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণপুর স্যাটেলাইট টাউনশিপ এলাকায় প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্যালনের একটি জলাধার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। জলাধারটি তৈরি হলে শহরের ৯০ হাজার মানুষ সুফল পাবেন। সেটি তৈরির বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার অভিযোগ, শুক্রবার সকালে প্রকল্প চত্বরে গিয়ে কিছু যুবক হম্বিতম্বি শুরু করে। নির্মাণের কাঁচামাল তাদের কাছ থেকে না কিনলে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। পুরসভায় গিয়ে বিষয়টি জানান ঠিকাদার সংস্থার মালিক শঙ্কু রায়। পুরসভা আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ করে। ঘটনাস্থলে যায় পুরসভার প্রতিনিধি দল। পৌঁছয় পুলিশও। পুলিশ-পাহারায় দুপুরের পরে কাজ শুরু হয়। মেয়র বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে কোনও বাধা মানা হবে না। পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
শহরে এর আগে শ্রম দফতরের ভবন, একটি স্কুলবাড়ি তৈরিও সিন্ডিকেটের জুলমে সমস্যায় পড়েছিল বলে অভিযোগ। সপ্তাহ খানেক আগে আদালত ভবন তৈরিতেও বাধা দেয় সিন্ডিকেট।
এ বার বিপত্তি জলাধারে। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওই যুবকেরা পুরসভার ৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তৃণমূলের অনিমেষ দাসের অনুগামী। অনিমেষবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘ওদের কেউ-কেউ দলের মিটিং-মিছিলে যায় ঠিকই। তবে আমার অনুগামী নয়। ’’ অনিমেষবাবু দলের অন্দরে যাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, সেই নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, বাজারদরের চেয়ে কেউ পাঁচ পয়সা বেশি নিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’’