ফলতার হোম থেকে সরানো হল শিশুদের

বাদুড়িয়ার না‌র্সিংহোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগ সামনে আসার পরে বিভিন্ন হোম, নার্সিংহোমে হানা দিয়ে নতুন নতুন তথ্য আসছে সিআইডি-র হাতে। ইতিমধ্যেই ঠাকুরপুকুরের ‘পূর্বাশা’ হোম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাচারের জন্য আনা ১০টি শিশুকে।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:১৩
Share:

বাদুড়িয়ার না‌র্সিংহোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগ সামনে আসার পরে বিভিন্ন হোম, নার্সিংহোমে হানা দিয়ে নতুন নতুন তথ্য আসছে সিআইডি-র হাতে। ইতিমধ্যেই ঠাকুরপুকুরের ‘পূর্বাশা’ হোম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাচারের জন্য আনা ১০টি শিশুকে। শুক্রবার সিআইডি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার দোস্তপুরে ‘জোকা মিলেনিয়াম ওল্ড এজ অ্যান্ড রিহ্যাব সেন্টার’ নামে একটি হোমের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির লোকজন গিয়ে ওই হোম থেকে ২০টি শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যান মন্দিরবাজারের সরকারি হোমে।

Advertisement

দফতরের জেলা আধিকারিক অনিন্দ্য ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং তাদের যত্নআত্তির জন্যই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল।’’ সিআইডি-র একটি সূত্র জানাচ্ছেন, হোমের আধিকারিক বাসন্তী চক্রবর্তীর খোঁজ চলছে। বিমল অধিকারী নামে শিশু পাচারকারী সন্দেহে যাকে ঠাকুরপুকুর থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি, তার সঙ্গেও ফলতার এই হোমের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

প্রশ্ন উঠছে, কেন নিরাপত্তার অভাব হতে পারত ফলতার হোমে থাকা ২-৮ বছরের ছেলেমেয়েগুলির? তবে কি এখান থেকেও শিশু পাচারের আশঙ্কা ছিল? যত্নআত্তির অভাব কি তা হলে অনেক দিন ধরেই চলছিল?

Advertisement

এ সব প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর মেলেনি। তবে বৈধ অনুমোদন নিয়েই হোমটি চলছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন ফলতার বিডিও পারমিতা শীল চক্রবর্তী। হোমটি নিয়ে আগে অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু নস্করও। হোমের আশপাশের কিছু দোকানদার দাবি করেছেন, বাচ্চাদের ঠিক মতো খেতে দেওয়া হতো না। মারধর করা হতো। এ সব অভিযোগ নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করেননি অনিন্দ্যবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement