বাগডোগরার জমি নিয়ে প্রশ্ন

টাকাটা বড় কথা নয়। কিন্তু একটি রাজ্যের কোনও এক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি যদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বার কিনে ফেলেন, সেটাই ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ হয়ে রয়ে যাবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

টাকাটা বড় কথা নয়। কিন্তু একটি রাজ্যের কোনও এক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি যদি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বার কিনে ফেলেন, সেটাই ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ হয়ে রয়ে যাবে।

Advertisement

শনিবার কলকাতায় এসে বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে এ কথা বলে গেলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র। তিনি জানান, বাগডোগরায় যাত্রীধারণের জায়গা নেই। নতুন উড়ান চালুর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রসারণের জন্য ৯০ একর জমির প্রয়োজন। সেই জমিও চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। তার দাম পড়বে ২৫ কোটি টাকা। মূলত বিমানবন্দর লাগোয়া চা-বাগান থেকেই ওই জমি কেনা হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেই সরাসরি জমি কিনে নিতে বলেছে অধিগ্রহণ-বিরোধী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই প্রসঙ্গেই গুরুপ্রসাদের মন্তব্য, ‘‘২৫ কোটি বড় কথা নয়। কিন্তু উদাহরণ হয়ে যাবে।’’

গুরুপ্রসাদ বলছেন, ‘‘ভুবনেশ্বরে দ্বিতীয় বিমানবন্দরের জন্য ওড়িশা সরকার দু’টি জমি আমাদের দেখিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে বিমানবন্দর তৈরি নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু জমি আমাদের কিনতে হবে না। রাজ্যই তা আমাদের হাতে তুলে দেবে।’’ পশ্চিমবঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সরাসরি জমি কিনলে অন্যত্রও যে তা উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে, সে দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ভুটান, উত্তর বিহার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জন্য বাগডোগরাই প্রধান বিমানবন্দর। সিকিমের প্যাকিওং-এ নতুন বিমানবন্দর হয়েছে। সেখান থেকে ছোট এটিআর বিমান চলবে বলে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন— নতুন বিমানবন্দর বা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের অর্থ, আরও বেশি লোকের চাকরি। এতে আশপাশের এলাকার উন্নয়ন হয়। জমির দাম বাড়ে। সামগ্রিক একটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই জমির জন্য রাজ্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত।

তবে কি এখনও জমি সমস্যার সমাধান হয়নি? চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিমান মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলেই জানি।’’

কলকাতা বিমানবন্দরের বিকল্প একটি বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তার কথাও এ দিন ওঠে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি রাজ্যকে আগেই জানিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, যে হারে কলকাতায় যাত্রী ও বিমান সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী পাঁচ-সাত বছর পরে দমদম বিমানবন্দরেও স্থান-সঙ্কুলানের সমস্যা হবে। নতুন উড়ান চালুর অনুমতি দেওয়া

যাবে না। ফলে এখন থেকেই

দ্বিতীয় বিমানবন্দরের কাজ শুরু

করা প্রয়োজন।

শনিবার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে দেশের প্রধান সমস্ত শহরেই বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ কম-বেশি শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ কলকাতার কাছে ৭০০ একর জমি দরকার

এই বিমানবন্দর বানাতে। রাজ্য সরকার বলেছিল, অন্ডালকে বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে। কিন্তু এ দিনও চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যেই তৈরি করতে হবে বিকল্প বিমানবন্দর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement