State News

কলেজ থেকে ইস্তফা বৈশাখীর

শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবনে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন বৈশাখী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ২১:৩৮
Share:

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

ফের ইস্তফা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকাশ ভবনে হওয়া এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখী। শিক্ষামন্ত্রী সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, বৈশাখী তাঁকে ভুল বুঝছেন। কিন্তু পরিস্থিতি সামলানো গেল না। শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবনে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন বৈশাখী।

Advertisement

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পরিচালিত একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা হিসেবে যে ভূমিকা তাঁর নেওয়া উচিত ছিল, সে ভূমিকা তিনি নিতে পারেননি এবং তিনি এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন— এই সব অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছেন বলে জানান বৈশাখী। নিজের পদত্যাগপত্রে একটি বাংলা সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করেছেন বৈশাখী। ওই সংবাদপত্রের কাছে বিবৃতি দিয়ে পার্থ প্রকাশ্যেই এই সব অভিযোগ তুলেছেন বলে চিঠিতে লিখেছেন পদত্যাগী অধ্যক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী কোনও দিন তাঁর বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ তুলবেন, তা তিনি ভাবতেই পারেননি বলে এ দিন বৈশাখী জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, এক জন কর্মী যখন সেই মন্ত্রীর আস্থা হারান, যাঁর অধীনে তিনি কাজ করেন, তখন পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার আর ওই কর্মীর থাকে না।

মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষা পদ থেকে বৈশাখী যে এই প্রথম বার ইস্তফা দিলেন, তা নয়। আগেও একাধিক বার ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও বারই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা গ্রহণ করেননি। বার বারই শিক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ইস্তফা তিনি গ্রহণ করছেন না। মিল্লি আল আমিন কলেজের সমস্যার সমাধান তিনি দ্রুত করবেন, এমন আশ্বাসও পার্থ দিয়েছিলেন প্রতি বারই। কিন্তু কলেজের জট এখনও কাটেনি। তাই ফের ইস্তফা দিয়েছ‌েন বৈশাখী। তবে ইস্তফা গ্রহণ করছেন না, এমন কোনও কথা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ বার আর বলেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় এ বার সরকারি হাসপাতালেও শুরু থার্মাল স্ক্যানিং

ইস্তফা প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে এ দিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে যে আচরণ পেয়েছি, তা অপ্রত্যাশিত। যে সব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এত কিছুর পরে নৈতিক কারণেই আমার পক্ষে আর মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষা পদে থাকা সম্ভব নয়।’’

আরও পড়ুন: গোমূত্র বিতর্কে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দিলীপের উল্টো মেরুতে বাবুল, টুইটে কটাক্ষও

মিল্লি আল আমিন কলেজ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই কলেজের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম সমাধান হল না। তাই আমি দফতরের সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সেই কমিটি বিষয়টি দেখছে। কমিটি আমাকে রিপোর্ট দিলে আমি তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন