অশান্তি: বন্ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। বুধবার সোনারপুর স্টেশনে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
তাঁদের ডাকা বন্ধ ‘সফল’ হওয়ার জন্য তৃণমূলকে ‘ধন্যবাদ’ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রেল অবরোধ, বাসে ভাঙচুর, আগুন লাগানো, ডান্ডা উঁচিয়ে দোকান বন্ধ করার মতো বহু ঘটনা ঘটার পরেও বুধবারের বন্ধকে ‘সফল’ বলে দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল সহযোগিতা না করলে বন্ধ কতটা সফল হত, জানি না। তারা এমন উত্তেজনা তৈরি করেছে যে, তাতেই বন্ধ অর্ধেক সফল হয়ে গিয়েছে।’’
সিপিএম এবং কংগ্রেসের ব্যাখ্যায় আবার ‘‘এ দিন যা হয়েছে তা তৃণমূলের প্রযোজনায় বিজেপির বন্ধ।’’ সিপিএম নেতা রবীন দেবের বক্তব্য, ‘‘বিজেপির বন্ধ যতটুকু সফল হয়েছে, তার জন্য দায়ী তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী হুমকি দিলেন। তৃণমূলের হুমকি আর বিজেপির হিংসার জেরে বন্ধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’’ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা হুমকি দিলেন। এক মন্ত্রী বললেন, পিঁপড়ের মতো টিপে মারতে পারি! এ সবে বিজেপিরই সুবিধা হল।’’
বন্ধ করতে জবরদস্তি ও হামলার অভিযোগ বিজেপি সভাপতি মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয়, বিজেপির বদনাম করার জন্য তৃণমূলই হিংসাত্মক কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ ব্র্যাবোর্ন রোডে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েক জন বিজেপি কর্মী চিহ্নিত হয়েছেন জেনে দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা দলের কোনও কর্মীকে রেল অবরোধ, ভাঙচুর, আগুন দেওয়া— এ সব কিছুই করতে বলিনি। কোথাও কেউ অতি উৎসাহে বা উত্তেজিত হয়ে কিছু করে থাকতে পারেন।’’ তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি দলটা যেমন ফ্লপ, এই বন্ধটাও তেমন ফ্লপ।’’ বিজেপির মহিলা মোর্চা জানিয়েছে, ইসলামপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার তারা শ্যামবাজারে ধরনায় বসবে। আর বিজেপির ‘জনবিরোধী’ নীতির প্রতিবাদে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করবে মহিলা তৃণমূল।