বাংলা সীমান্তে দ্রুত কাঁটাতার কেন্দ্রের

উত্তর ২৪ পরগনা ও বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য ৩০০ একর জমি প্রয়োজন বলে রাজ্যকে জানিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
Share:

ছবি: এএফপি।

এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জি নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং তৃণমূল, সিপিএমের মতো বিরোধী দলের মধ্যে চাপান-উতোর তীব্র হচ্ছে। তার মধ্যেই অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তবর্তী এলাকার ফাঁকা জায়গায় দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা) যে-সব অঞ্চল দিয়ে বেশি মাত্রায় অনুপ্রবেশ ও পাচার হয়, তার প্রায় ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় দ্রুত ওই বেড়ার কাজ শুরু হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে ব্যক্তিগত জমি কেনার জন্য ৮৮ কোটি টাকা মঞ্জুরও করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে সেই কাজের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকারও।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা ও বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য ৩০০ একর জমি প্রয়োজন বলে রাজ্যকে জানিয়েছে কেন্দ্র। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বুধবার বলেন, ‘‘জমি সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাব ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৩০০ একর জমি কেনার জন্য ৮৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদকে।’’

চোরাপথে যাতায়াতের পাশাপাশি গরু থেকে শুরু করে মাদক পাচারের রমরমা এবং তা নিয়ে খুনখারাপির জন্য বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলার সীমান্ত এলাকার ১৬৫ কিলোমিটারই জলপথ। পাশাপাশি বাগদা, বনগাঁ, আংড়াইল, বাদুড়িয়া, বসিরহাটের ৩১ কিলোমিটার ফাঁকা এলাকার চোরাপথেও অবাধে চলে যাতায়াত ও চোরাচালান।

Advertisement

বাংলা সীমান্ত

• দক্ষিণবঙ্গ: ৯১৬ কিমি
• কাঁটাতার নেই: ৫৪৪ কিমি
• উত্তর ২৪ পরগনা: ৩১৫ কিমি
• জলপথ: ১৬৫ কিমি
• কাঁটাতার নেই: ৩১ কিমি

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফাঁকা এলাকা কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করার জন্যই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ব্যক্তি-মালিকানার জমির পাশাপাশি জবরদখল হয়ে যাওয়া জমিও রয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী এ দিন বলেন, ‘‘জমি কেনার জন্য টাকা এসেছে। তবে রাজ্যের জমি-নীতি মেনেই তা কেনা হবে। জোর করে নয়, বাজারদর অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে, প্রয়োজনে বেশিও দেওয়া হবে।’’ জমি নেওয়ার পরে তা তুলে দেওয়া হবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। তার পরে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর কাঁটাতার দেওয়ার কাজ করবে।

আরও পড়ুন: অমিতের কথায় ফের পঞ্জি আতঙ্ক!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন