Calcutta High Court

দেড় মাস জেলবন্দি থাকার পর হাই কোর্টের জামিন তৃণমূলের বারোকে, খুনের চেষ্টার মামলায় আপাতত স্বস্তি

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল। দায়ের হয় মামলা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৫:৫৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রায় দেড় মাস জেল থাকার পরে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেন খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ধৃত ১২ জন তৃণমূল নেতা। সোমবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল পরের দিন বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ক্ষমতাসীন নেতারা দেবু পালকে বেধড়ক মারধর করেছেন। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ঘটনায় খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য,পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ এবং রায়ান ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি শেখ জামাল-সহ ১৩ জনকে গত ২৪ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেন বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। কাকলিকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক মিশ্র। তা ছাড়া বর্ধমান-১ ব্লকের যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, তৃণমূল নেতা শেখ জামাল, কার্তিক বাগ-সহ ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

কিন্তু আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথেই অসুস্থতাবোধ করেন কাকলি, মানস, কার্তিক এবং জামাল। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। বুকে ব্যথা ছিল কাকলির। ইসিজি রির্পোট দেখার পরে কাকলিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ‘উইংস্’ অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

Advertisement

ঘটনাক্রমে কাকলির আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন করেন। শারীরিক পরিস্থিতি দেখে গত ২৮ মার্চ বর্ধমান আদালত কাকলির জামিন মঞ্জুর করে। বাকিদের জামিনের জন্য আবেদন করা হয় হাই কোর্টে। সোমবার আইনজীবী বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্ট সাজাপ্রাপ্ত ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে। এই মামলা চলবে। তবে আপাতত ১২ জন জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন।’’ আদালত সূত্রে খবর, সোমবার জামিন মঞ্জুর হলেও ১২ সাজাপ্রাপ্ত ছাড়া পেতে পারেন মঙ্গলবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement