Sick

সরকারি হোমে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৪ ছাত্র

জেলায় এই ধরনের সরকারি হোম রয়েছে দু’টি। গরিব ও অসহায় পরিবারের ছাত্রদের রাখা হয় এই আবাসিক হোমে। হোমে থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি এখানে তারা পড়াশোনাও করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৪৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পেটের রোগ ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল কালনার পূর্ব সাতগাছি এলাকার একটি সরকারি হোমের ১৪ জন ছাত্রকে। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব সাতগাছি হিন্দু মিশন ওয়েলফেয়ার হোমের যে ছাত্রেরা ভর্তি হয়েছে, তাদের বয়স ৮ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে দুই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন এত জন ছাত্র আচমকা অসুস্থ হল, সে নিয়ে প্রশাসনের তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

জেলায় এই ধরনের সরকারি হোম রয়েছে দু’টি। গরিব ও অসহায় পরিবারের ছাত্রদের রাখা হয় এই আবাসিক হোমে। হোমে থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি এখানে তারা পড়াশোনাও করে। সাধারণত ৬-১৮ বছর বয়সীদের রাখা হয় হোমটিতে। হোম সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল থেকে বেশ কিছু ছাত্রের পেটের রোগ ও জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। হোমেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু দুপুরের পরে অনেকের অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কারও কারও খিঁচুনিও শুরু হয়। প্রথমে ৮ জন, পরে আরও ৬ জনকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।

খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন কালনার মহকুমাশাসক সুরেশকুমার জগৎ। তিনি হাসপাতালের সুপার, সহকারী সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই হোমের সুপারিন্টেন্ডন্ট নিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের রাতে ভাত, ডাল, সবজি খেয়েছিল ছাত্ররা। কেন এক সঙ্গে এত জন অসুস্থ হয়ে পড়ল, বুঝতে পারছি না।’’ হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, ‘‘অসুস্থদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা ভাল না হওয়ার কারণে তাদের পাঠানো হচ্ছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এমনটা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’

Advertisement

মহকুমাশাসক জানান, ওই ছাত্রেরা প্রত্যেকেই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি হোমে কেন এক সঙ্গে এত ছাত্র অসস্থ হয়ে পড়ল, তা জানতে খাদ্যসুরক্ষা আধিকারিক, বিএমওএইচ-সহ একটি দল তদন্ত করবে।’’ সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, ‘‘সন্ধ্যায় হোমটি পরিদর্শন করেছি। ওখানে পরিছন্নছতার প্রয়োজন রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন