Dengue

করোনা-পর্বের মাঝে ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০৩:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জেলায় ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এমনই তথ্য জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য-কর্তারা।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘জেলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ডেঙ্গির প্রকোপ যাতে না বাড়ে, সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ তবে এই আক্রান্তেরা কোন-কোন এলাকার বাসিন্দা, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য দেয়নি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগত বলেন, ‘‘চলতি মরসুমে মার্চ পর্যন্ত পুরসভা এলাকায় ন’জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। তার পরে পুরসভা এলাকায় আর কোনও রোগীর খোঁজ মেলেনি।’’

স্বাস্থ্য-কর্তারা জানান, ডেঙ্গি-পরিস্থিতির মোকাবিলায় আসানসোল ও দুর্গাপুর, এই দুই পুরসভা এলাকা এবং আটটি ব্লকে মোট ২৮ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। সাধারণত যে সব অঞ্চলে মশার লার্ভা জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে, সে সব অঞ্চল চিহ্নিত করে এই মাছ ছাড়া হবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও মাছ ছাড়া হবে।

Advertisement

পাশাপাশি, জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে লাগাতার সচেতনতা প্রচার। দুই পুরসভা এলাকায় ভাগ করে ১০ দিন এবং ব্লক এলাকায় ভাগ করে ২০ দিন ধরে চলবে প্রচার। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ব্লকের আধিকারিকদের জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি নির্দেশিকাও পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

আসানসোল-দুর্গাপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের ইতিহাস রয়েছে। গত মরসুমে আসানসোল পুরসভা এলাকায় প্রায় ৭৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। গত কয়েকবছরে দুর্গাপুর পুরসভা এলাকাতেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেখা পাওয়া গিয়েছে। দুই পুরসভা এলাকাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে গত কয়েকবছরে।

এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষও। সোমবার স্বাস্থ্য-সহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নিয়ে বৈঠক করেন আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দুবাবু ও পুর কমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি। গত বছর পুরসভার ৪, ২২, ২৩, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৫৩, ৫৪, ৭৭, ৮৪, ৮৯, এই ১১টি ওয়ার্ডকে ‘সংবেদনশীল’ ঘোষণা করেছিল পুরসভা। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, ‘‘গত বছর যে-যে এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর হদিস মিলেছিল, এ বার সেখানে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে সাফাই ও নিকাশির উপরে। ঘন-ঘন প্রতিষেধক ছড়ানোর ব্যবস্থা হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতা প্রচারও করছেন।’’ পাশাপাশি, দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারিও বলেন, ‘‘আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলছে। মশা মারতে কীটনাশক ‘স্প্রে’ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন