জেলার জন্য আড়াইশো কর্মী

গোড়া কাজ শুরু করবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি। তার পরে ধীরে-ধীরে শুরু হবে বাকি দফতরগুলির কাজ। তৈরি হতে চলা নতুন জেলায় এমন পরিকল্পনাই করেছে প্রশাসন।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

জেলাশাসকের অফিস। —নিজস্ব চিত্র।

গোড়া কাজ শুরু করবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি। তার পরে ধীরে-ধীরে শুরু হবে বাকি দফতরগুলির কাজ। তৈরি হতে চলা নতুন জেলায় এমন পরিকল্পনাই করেছে প্রশাসন। প্রায় আড়াইশো কর্মী নিয়োগ করে শুরু হতে চলেছে জেলা প্রশাসনের কাজ। ৭ এপ্রিল আসানসোলে এসে আসানসোল-দুর্গাপুর নিয়ে গঠিত ‘পশ্চিম বর্ধমান’ জেলা ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

ইতিমধ্যে আসানসোলে নতুন জেলার সদর কার্যালয় তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ২৮টি বিভাগের জন্য আপাতত ২৪৫টি পদ অনুমোদন হয়েছে। এখনই একই ছাদের তলায় সব দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের বসার ব্যবস্থা না করা গেলেও অদূর ভবিষ্যতে তা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার এক সপ্তাহ পর থেকেই দফতরগুলি কাজ শুরু করবে। সে জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন জেলাশাসকের কার্যালয় তৈরি হয়েছে আসানসোলের কল্যাণপুরে। এডিডিএ-র নবনির্মিত কার্যালয়ে বসবেন প্রথম জেলাশাসক। এখনও পর্যন্ত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরেই সর্বাধিক আধিকারিক-কর্মী বহাল করা হচ্ছে। সেখানে মোট ৫১ জনের পদ তৈরি হয়েছে। কল্যাণপুরে জেলাশাসকের দফতরের ঠিক উল্টো প্রান্তে আলাদা করে এই দফতরটি তৈরি হয়েছে। নতুন যে দফতরগুলির জেলা কার্যালয় তৈরি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্রম বিভাগ। কল্যাণপুরে নবনির্মিত এই দফতরে এক জন জেলা শ্রম নিরীক্ষক-সহ দু’জন কর্মী বসবেন। স্কুল শিক্ষা বিভাগে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে এক জন করে জেলা স্কুল পরিদর্শক-সহ একাধিক সহকারী পরিদর্শক ও কর্মী মিলিয়ে মোট ৩১ জনের পদ তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নবগঠিত জেলায় যে দফতরগুলি অত্যন্ত প্রয়োজন, প্রাথমিক ভাবে সেগুলিই কাজ শুরু করবে। পরে বাকি দফতরগুলির কাজ শুরু হবে। নগোরোন্নয়ন দফতরের জন্য এক মুখ্য বাস্তুকার-সহ পাঁচ জনের পদ তৈরি হয়েছে। কৃষি দফতরে দুই উপ-নির্দেশক ও দুই সহ-নির্দেশক ছাড়াও ছ’টি পদ তৈরি হয়েছে। পরিবহণ দফতরে এক জন আধিকারিক ও এক জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে এক জন জেলা আধিকারিক-সহ চার কর্মীর পদ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে কৃষি বিপণন, জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার, যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, মৎস্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মহিলা ও শিশুবিকাশ ইত্যাদি দফতর। আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলা বিভাজনের সঙ্গে-সঙ্গে এই সব দফতরে কর্মী-আধিকারিক নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে পুরোমাত্রায় কাজ শুরু হতে মাস ছয়েক সময় লেগে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন