numismatist

গলসিতে প্রাচীন মুদ্রা বিক্রির নামে ‘প্রতারণা’, ধৃত ৩

তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের পরামর্শমতো ফের মুদ্রা কেনার নাম করে মীরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নীলকমলবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪১
Share:

উদ্ধার জাল মুদ্রা। নিজস্ব চিত্র

প্রাচীন মুদ্রার টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গলসির খানা জংশন থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মীর মসিকুল, শেখ সানিউল হোসেন ও শেখ রাহুলের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার আমোদপুরে। পুলিশের দাবি, কলকাতার চিৎপুরের বাসিন্দা, পেশায় ট্যাক্সি চালক নীলকমল ঘোষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে তারা জেনেছে, দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রা পাচারের চক্র চালাচ্ছে মীরেরা। নীলকমলবাবুর সঙ্গে বীরভূমে পরিচয় হয় তাঁদের। অভিযোগ, পরে তাঁকে ফোনে প্রাচীন মুদ্রার টোপ দেয় মীরেরা। প্রথমে কয়েকটি মুদ্রা পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছিল নীলকমলবাবুকে। তিনি সেগুলি পরীক্ষা করিয়ে দেখেন, এক-একটির মূল্য কয়েক হাজার টাকা। নীলকমলবাবু পুলিশে অভিযোগ করেন, এর পরে ২১ নভেম্বর গলসি স্টেশন লাগোয়া একটি জায়গায় এক লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি ৭৫টি মুদ্রা কেনেন। কলকাতায় ফিরে পরীক্ষা করিয়ে দেখেন, সেগুলি নকল। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে তিনি গলসি থানায় যোগাযোগ করেন।

তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের পরামর্শমতো ফের মুদ্রা কেনার নাম করে মীরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নীলকমলবাবু। এ বার তিনি দু’শো মুদ্রা কিনতে চান। মীরেরা প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। আগের মুদ্রাগুলি নীলকমলবাবু কী করেছেন, তা তারা জানতে চায়। নীলকমলবাবু তাঁদের জানান, সেগুলির প্রতিটিতে ৫০০ টাকা করে লাভ রেখে এক ক্রেতাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। তা শোনার পরে ফের মুদ্রা বিক্রিতে রাজি হয় ওই তিন জন। কথামতো বুধবার বিকেলে গলসির খানা জংশনে মুদ্রা নিয়ে আসে তিন জন। ধরে ফেলা হয় বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

পুলিশ জানায়, আগে থেকেই এলাকায় সাদা পোশাকে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। সন্ধ্যার মুখে তিন জন আসতেই তাদের ধরে ফেলা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে ১৫০টি জাল মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে মীরকে চার দিন পুলিশ হেফাজত ও বাকি দু’জনকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, নকল গয়না ও পুরনো মুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারণার মামলা রুজু হয়েছে। এই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, জানার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন