arrest

Jail: একের পর এক গামছা বেঁধে জেল থেকে চম্পট তিন বন্দির! ধরতে রাতভর অভিযান পুলিশের

রবিবার দুপুর তখন ৩টে। সেই সময় দুর্গাপুরের উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান তিন বিচারাধীন বন্দি। পরে ধৃত এক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৩:২১
Share:

জেল পালানো এক বন্দি জালে। — নিজস্ব চিত্র।

সংশোধনাগারে সিসি ক্যামেরা নেই। সেই সুযোগ নিয়ে প্রহরীদের চোখে ধুলো দিয়ে রবিবার দুপুরে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় উপ-সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিন বিচারাধীন বন্দি। রবিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের মধ্যে এক জনকে জালে পুরতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement

রবিবার দুপুর তখন ৩টে। সেই সময় দুর্গাপুরের উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান তিন বিচারাধীন বন্দি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের বাসিন্দা ভুবন নিয়োগী। অন্ডাল থানায় ডাকাতির মামলা আছে ভুবনের বিরুদ্ধে। ছিলেন জামুড়িয়ার শ্রীপুর মোড়ের বাসিন্দা মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে কুলটি থানা, দেওঘর, মধুপুর রেলপুলিশে ডাকাতির অভিযোগ আছে। এ ছাড়াও ছিলেন নেপাল মৃধা নামে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকার আর এক যুবক। পাণ্ডবেশ্বর থানায় নেপালের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি গামছা জোগাড় করেছিলেন ওই তিন বন্দি। তাঁরা গামছাগুলি গিঁট বেঁধে দড়ির মতো ব্যবহার করেন এবং জেল থেকে পালিয়ে যান।

সংশোধনাগারে বন্দিদের গণনার সময় ধরা পড়ে তিন জন নেই। এর পর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। রাতভর চলে অভিযান। সোমবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের মলানদিঘির জঙ্গলে ভুবন নামে এক বিচারাধীন বন্দিকে দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা ভুবনকে ধরে ফেলেন। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘রাতে তল্লাশি অভিযান চলছিল। সেই সময় জঙ্গল দিয়ে ওরা যাচ্ছিল। তাতে আমাদের সন্দেহ হয়। আর যারা পালিছে, তাদের ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ছবি দেখে সন্দেহ দৃঢ় হয়। পরে ধৃত নিজের আসল নাম বলে ফেলে জেরায়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন