Bardhaman

কালনা মহকুমা প্রশাসনে নিভৃতবাসে কর্তা-কর্মীরা

পরিবহণ কার্যালয়টি রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের নীচেই। এই ঘটনার পরে মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি-সহ প্রায় ২৫ জন আধিকারিক-কর্মীকে আপাতত ‘হোম আইসোলেশন’-এ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০২:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র

করোনা-আক্রান্তের হদিস মেলায় কালনায় মহকুমাশাসকের কার্যালয় এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার কালনার চার জনের করোনা-রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। তাঁদের মধ্যে এক জন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক এবং এক জন সিভিল ডিফেন্স বিভাগের কর্মী। পরিবহণ কার্যালয়টি রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের নীচেই। এই ঘটনার পরে মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি-সহ প্রায় ২৫ জন আধিকারিক-কর্মীকে আপাতত ‘হোম আইসোলেশন’-এ পাঠানো হয়েছে। কালনা মহকুমা হাসপাতালে এ দিন মহকুমাশাসক-সহ ৩৫ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ফেরিঘাট বিষয়ক একটি বৈঠকে হাজির ছিলেন পরিবহণ দফতরের ওই কর্তা। সেখানে ছিলেন মহকুমাশাসক-সহ প্রশাসনের বেশ কিছু আধিকারিক ও কর্মী। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই পরিবহণ আধিকারিকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংস্পর্শে প্রায় তিরিশ জন এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ‘হোম আইসোলেশন’-এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ দিন মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা স্যানিটাইজ় করা হবে।’’ মহকুমা প্রশাসনের বেশিরভাগ আধিকারিক ও কর্মী নিভৃতবাসে থাকলে প্রশাসনিক কাজকর্ম কী ভাবে হবে, সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘জরুরি বিভাগ চালু থাকবে। মানুষের যাতে পরিষেবা পেতে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
কালনা শহর ছাড়াও, আশপাশের এলাকায় আরও কয়েকজন করোনা-আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘কালনা শহর ও গ্রামীণ এলাকা থেকে এ দিন আট জন আক্রান্তকে বর্ধমানের ‘সেফ হোম’-এ পাঠানো হয়েছে। এক জন রয়েছেন ‘হোম আইসোলেশন’-এ।’’ তিনি জানান, আজ, রবিবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের আরও কিছু কর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তবে পরিবহণ দফতরের ওই আধিকারিক-সহ অন্যেরা কী ভাবে আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন বলে দাবি স্বাস্থ্য-কর্তাদের অনেকের।
জেলায় আরও দুই আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনই বর্ধমানের বাসিন্দা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement