ছাত্র টানতে নাড়ু, কলা দিত স্কুল

পড়াশোনার পরিকাঠামো থাকলেও পড়ার প্রতি ছেলেমেয়েদের আগ্রহ তেমন ছিল না। তিনিই পাঠশালায় মুড়ির নাড়ু ও চাঁপা কলা দেওয়ার প্রথা চালু করেন। বাড়তে থাকে ছেলেমেয়েদের ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৫
Share:

মুড়ির নাড়ু দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরেই চলত পাঠশালা। তবে গাঁয়ের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় তেমন আগ্রহ ছিল না। তাদের পাঠশালায় আনতে হাতে হাতে নাড়ু, কলা দেওয়ার ফন্দি আঁটেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। এখনও স্কুলের জন্মদিনে এই প্রথা মেনে মুড়ির নাড়ু দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।

Advertisement

শনিবার কাটোয়ার শ্রীবাটি গোকুলকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫৩ তম বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান ছিল। স্কুল সূত্রে জানা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৮৬৭ সালে স্থানীয় জমিদার গোকুলকৃষ্ণ চন্দ্র জনা আটেক ছাত্র নিয়ে শুরু করেন পাঠশালা। পড়াশোনার পরিকাঠামো থাকলেও পড়ার প্রতি ছেলেমেয়েদের আগ্রহ তেমন ছিল না। তিনিই পাঠশালায় মুড়ির নাড়ু ও চাঁপা কলা দেওয়ার প্রথা চালু করেন। বাড়তে থাকে ছেলেমেয়েদের ভিড়। আশপাশের নতুনগ্রাম, পোস্টগ্রাম, বাকসা, নন্দীগ্রাম থেকেও পড়ুয়ারা আসে। ১৯৫০ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি ও ১৯৫৩ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন পায় স্কুলটি। বছর ত্রিশেক আগে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। এখন ফি দিন নাড়ু, কলা দেওয়া না হলেও ৫ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফিরিয়ে আনা হয় পুরনো স্মৃতি। একে ‘চাঁপাকলা উৎসব’ও বলা হয়। এ দিন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক পান্নালাল রায়কে সংবর্ধনা জানানো হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকান্ত কর্মকার বলেন, ‘মিড-ডে মিল আজকের প্রথা। দেড়শো বছর আগে এই কথা ভেবেছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। এটা আমাদের গর্ব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন