আসানসোলে অধীর। নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙের ছাতার মতো খাদান খুলে লুঠ করা হচ্ছে কয়লা ও বালি, আসানসোলে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই খনি অঞ্চলের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন ও অবৈধ খাদান বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার শহরে বিক্ষোভ-সভা করে যুব কংগ্রেস। সভা শেষে দলের প্রতিনিধিরা অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
আসানসোল-রানিগঞ্জ খনি অঞ্চলের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের এখনও পুনর্বাসনের না দেওয়ায় এ দিন রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন অধীর। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে কেন্দ্রে তৎকালীন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এই এলাকার ধস কবলিত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করে। রাজ্য সরকারের সেই কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও তা এখনও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে টানা আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
অধীরের অভিযোগ, ‘‘রানিগঞ্জ-আসানসোল খনি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ কয়লা খাদান গজিয়ে উঠেছে। মাফিয়ারা গরিব মানুষদের দিয়ে কয়লা তোলাচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের যেমন প্রাণহানি হচ্ছে, তেমনই বছরে দেশের প্রায় ৬০ লক্ষ টন সম্পদ লুঠ হয়ে যাচ্ছে।’’ একই ভাবে মাফিয়ারা শিল্পাঞ্চল লাগোয়া দামোদর ও অজয়ের চরেও অবৈধ বালি খাদান খুলে বসেছে দাবি করে তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘মাফিয়ারা শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতাদের টাকার ভাগ দেয় বলেই প্রশাসন এই সব অবৈধ কাজ-কারবার বন্ধ করছে না।’’ সভার পরে যুব কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি তুলে দেয়। প্রলয়বাবু উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অধীরের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস এ রাজ্যে অনেক আগেই সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি পুরসভার ভোটে তার প্রমাণও মিলেছে। কুৎসা করা ছাড়া ওদের কাছে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।’’ তাঁর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে কাজে মানুষ সামিল হয়েছেন, তা সহ্য করতে না পেরেই এমন অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস।