— নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মিষ্টি হাব পুনরায় খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। রবিবার খড়গপুর আইআইটি-র এক আধিকারিক-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা আচমকাই সেখানে যান।
২০১৭ সালে আসানসোলে জেলা ভাগের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বামচাঁদাইপুরের মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু মিষ্টি হাব চালু হওয়ার পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে। দোকানপাট চালু হলেও জমেনি ব্যবসা। ফলে নাগাড়ে লোকসানে চলা মিষ্টির দোকানগুলির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। তার পরেও জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে মিষ্টি হাবকে সচল করার চেষ্টা হয়। কিন্তু কোনও দাওয়াই কাজে লাগেনি। ফলে একতলার ১০টি এবং দোতলার ১৫টি দোকান ঘরে তালা পড়ে যায়।
মিষ্টি হাবে বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা থেকে শুরু করে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কাটোয়ার পরাণের পানতুয়া, কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, নবদ্বীপের দই, জয়নগরের মোয়া সহ সব বিখ্যাত মিষ্টিকে এক ছাতার তলায় এনে তা ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপিত করাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু, চেষ্টা অনেক করেও ক্রেতাদের মন পাওয়া যায়নি। তাই বন্ধ হয়ে যায় এই মিষ্টি হাব। তা পুনরায় চালু হলেও আবার বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবার পরিদর্শন করেন খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ-সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রসেনজিৎ দাস, বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দিব্যজ্যোতি দাস ও বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক।
বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প মিষ্টি হাব দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। অনেক চেষ্টা করেও চালু করা যায়নি। তাই আইআইটি খড়গপুরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হল। এখান থেকে মিষ্টি পরীক্ষা ও প্যাকেটজাত করে বিদেশে রফতানি করা যায়, তার একটা প্রাথমিক রূপরেখা করা হল। পরে আলোচনা করে দেখা হবে কি করা যায়।