ক্যানসার আক্রান্ত ৬২ বছরের এক রোগীর ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার সফল ভাবে করার দাবি করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে ভাতারের স্বর্ণচালিদা গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় খেতমজুর দিলীপ যশের জিভের উপরের দিকে ঘা দেখা দেয়। কোনও শক্ত খাবারও খেতে পারছিলেন না দিলীপবাবু। ঘা বাড়তে থাকায় বাবাকে নিয়ে কয়েক জন চিকিৎসকের কাছেও হত্যে দেন ছেলে সুমন্তবাবু। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষমেশ গত ১৩ জানুয়ারি বাবাকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে আসেন সুমন্তবাবু। সেখানেই বায়োপসি রিপোর্টে দেখা যায়, দিলীপবাবুর ক্যানসার হয়েছে।
এর পরেই ঠিক হয়, অস্ত্রোপচার করা হবে। সেই জন্য ডাক্তার গণেশ গায়েনের নেতৃত্বে চার জন চিকিৎসকের দল গত বুধবার দিলীপবাবুর অস্ত্রোপচার করে। কতটা কঠিন ছিল অস্ত্রোপচার? গণেশবাবুর দাবি, দিলীপবাবু গলায় দূরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা ক্ষতস্থানের মাংস-পেশি কেটে বাদ দেন। পরে কপালের ভিতরের পেশি কেটে তা গলার উপরের দিকের তালুতে জুড়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসক দেবব্রত দাস, অপূর্ব সরকার, স্বাতী মণ্ডলেরা জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। এর পরে দিলীপবাবুকে ছ’সপ্তাহের কেমোথেরাপি দেওয়া হবে। অস্ত্রোপচার প্রায় নিখরচায় হওয়ায় খুশি সুমন্তবাবু। বিশেষজ্ঞরা জানান, বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের খরচ সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘এখন চিকিৎসকেরা এ ধরনের অস্ত্রোপচারের করলে সেই সুযোগ বর্ধমান মেডিক্যাল দিতে পারে।’’ শহরের শল্য চিকিৎসক প্রণব মাঝি বলেন, ‘‘যে ভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তা সত্যিই কৃতিত্বের। এ ধরনের কাজ আমাদেরও সাহস জোগাবে।’’