ফলপ্রকাশে বারবার দেরি, ক্ষোভ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে 

একের পর এক সেমেস্টার পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু, ফলপ্রকাশ বা মার্কশিট হাতে পাওয়া যাচ্ছে না সময়ে। নিয়ম মেনে পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়েও কী হল ফল, জানা যাচ্ছে না তা-ও

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০১:০৩
Share:

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

একের পর এক সেমেস্টার পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু, ফলপ্রকাশ বা মার্কশিট হাতে পাওয়া যাচ্ছে না সময়ে। নিয়ম মেনে পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আর্জি জানিয়েও কী হল ফল, জানা যাচ্ছে না তা-ও। এমনই নানা অভিযোগ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। এই পরিস্থিতিতে প্রায়ই পড়ুয়া-বিক্ষোভ চোখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসানসোল, দুর্গাপুরের ২৬টি কলেজ রয়েছে। এই দুই মহকুমার নানা কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ফলপ্রকাশে এতটাই দেরি হচ্ছে যে, অনেক সময় প্রথম সেমেস্টারের ফল না জেনেই পরবর্তী সেমেস্টারে বসতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। বছরখানেক ধরে ফল আটকে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন প্রায় দশ হাজার পরীক্ষার্থী। আরও জানা যায়, বর্তমান শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পরীক্ষার্থীরা কিছু দিন পরে পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। কিন্তু তাঁদের চতুর্থ সেমেস্টারের ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীরাও এখনও মার্কশিট হাতে পাননি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

দেরিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বিবিএ, বিসিএ-র মতো পাঠ্যক্রমের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার মার্কশিট হাতে না মেলায় চাকরি পরীক্ষাতেও বসা যাচ্ছে না। একই অভিযোগ তুলে অন্য পাঠ্যক্রমের পড়ুয়ারাও জানান, মার্কশিট না মেলায় উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যত্র কোথাও আবেদন করা যাচ্ছে না। দ্রুত ফলপ্রকাশের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সংগঠনও। সংগঠনের নেতা উৎপল সিংহ বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের অযথা হয়রান করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ এসএফআই নেতা হিমগ্ন চন্দের ক্ষোভ, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে পড়ছে।’’ পরীক্ষা নিয়ামক সলিল দাসের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলব।’’ তাঁর আরও আশ্বাস, বিবিএ, বিসিএ পরীক্ষার্থীদের সমস্যা আগে মেটানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন