জলের দাবিতে বিক্ষোভ খনিতে

পানীয় জলের দাবিতে সারাদিন ধরে খনির উত্‌পাদন ও পরিবহন বন্ধ রেখে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন অন্ডালের কাজোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে বুধবার কাজোড়া এরিয়ার ৭টি কোলিয়ারি ও একটি খোলামুখ খনির উত্‌পাদন বন্ধ ছিল। ইসিএল-এর তরফে অন্ডাল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫৮
Share:

বন্ধ রইল উত্‌পাদন। অন্ডালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

পানীয় জলের দাবিতে সারাদিন ধরে খনির উত্‌পাদন ও পরিবহন বন্ধ রেখে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন অন্ডালের কাজোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে বুধবার কাজোড়া এরিয়ার ৭টি কোলিয়ারি ও একটি খোলামুখ খনির উত্‌পাদন বন্ধ ছিল। ইসিএল-এর তরফে অন্ডাল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় চক্রবর্তীর অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বাম আমলে এলাকায় মোট ৯০টি কল বসালেও এখন সেগুলি থেকে জল পড়ে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গরম পড়লেই কুয়ো আর পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। এর জেরে তখন ইসিএল-এর পাঠানো জলের ট্যাঙ্কারের উপর ভরসা করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এ বছর এখনও পর্যন্ত জল পাঠানো শুরু করেনি ইসিএল। সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান অজিত রুইদাস এরিয়ার জিএম-এর সঙ্গে দেখা করে জল পাঠানোর দাবি জানান। কিন্তু তার পরেও জল পাঠানো হয়নি বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। এর পরে থেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানান মলয়বাবু।

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়ের যদিও অভিযোগ, “আগের বছরের চেয়ে এ বার চারগুণ বেশি জল দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। আমাদের পক্ষে ওই দাবি মেটানো সম্ভব নয়।” সমস্যা সমাধানে দুর্গাপুরের এসডিএম-এর সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান নীলাদ্রিবাবু। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই এলাকায় জল সরবারহের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যদিও বিডিও মানস পাণ্ডে বলেন, “এ দিন সন্ধ্যায় ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয় বাসিন্দাদের দাবি মতোই জল সরবারহ করা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement