পুনর্বাসন নিয়ে ফের সরব কেন্দা

পুনর্বাসন না দিয়ে মেগা প্রজেক্ট চালু করতে চাইছে ইসিএল। কোনও কাজের প্রতিবাদ করলেই কর্মীদের বদলি করে দেন এরিয়া কর্তৃপক্ষ। এমনই নানা অভিযোগ নিয়ে ইসিএলের সিএমডি এবং জামুড়িয়ার বিডিও-র কাছে সম্প্রতি চিঠি দিল জামুড়িয়ার ‘কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটি’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০০:৩৫
Share:

পুনর্বাসন না দিয়ে মেগা প্রজেক্ট চালু করতে চাইছে ইসিএল। কোনও কাজের প্রতিবাদ করলেই কর্মীদের বদলি করে দেন এরিয়া কর্তৃপক্ষ। এমনই নানা অভিযোগ নিয়ে ইসিএলের সিএমডি এবং জামুড়িয়ার বিডিও-র কাছে সম্প্রতি চিঠি দিল জামুড়িয়ার ‘কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটি’।

Advertisement

ওই কমিটির সদস্য বিজু বন্দ্যোপধ্যায় জানান, বছর পঁচিশ আগে গ্রামের মাঝে এক ব্যক্তির বাড়ি মাটিতে তলিয়ে যায়। তার পরে এখনও পর্যন্ত কুড়ি বারেরও বেশি ধসের ঘটনা ঘটেছে গ্রামে। দু’দশক আগেই কেন্দা গ্রাম ও লাগোয়া জনপদকে ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়। পুনর্বাসনের জন্য বছর পাঁচেক আগে প্রায় এগারোশো পরিবারকে পরিচয়পত্রও দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে।

গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটির চার দিকে রয়েছে খনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামটিকে ঘিরে মেগা প্রজেক্ট চালুর চেষ্টা করছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। এলাকারই কিছু লোক খনি কর্তৃপক্ষকে বিনা বাধায় জমি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছেন বলে তাঁদের দাবি। বিজুবাবু বলেন, “আমাদের দাবি, দীর্ঘদিন এই এলাকায় বাস করছেন কিন্তু নিজেদের নামে জমি-বাড়ির নথি নেই, এই রকম বাসিন্দাদের এবং জমির বর্গাদারদেরও সমান পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। মেগা প্রজেক্ট চালু হওয়ার আগেই পুনর্বাসন দিতে হবে। তা ছাড়া গ্রাম রক্ষা কমিটি কাজ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়।’’ তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এক খনিকর্মীকে অন্যত্র বদলি করে দিয়েছিলেন ইসিএলের সংশ্লিষ্ট কেন্দা এরিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে পড়ে পরে সেই সিদ্ধান্ত রদ করা হয়েছে। তবে বিজুবাবুর দাবি, ‘‘আরও কয়েক জন কর্মীকে এ ভাবে বদলি করা হতে পারে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাই কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন।’’

Advertisement

বিজুবাবু জানান, সম্প্রতি কেন্দা কোলিয়ারিতে গ্রাম রক্ষা কমিটির নেতৃত্বে প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখাতে যান। তবে আধিকারিকদের দেখা না পেয়ে অভিযোগের বাক্সে দাবিপত্র জমা দিয়ে আসা হয়েছে। সংস্থার সিএমডি-র কাছেও বিহিত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জামুড়িয়া ব্লক প্রশাসন এবং জেলা পরিষদ সভাধিপতির হাতেও দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘পুনর্বাসন একটি প্রক্রিয়াগত ব্যাপার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জমি দিলেই পুনর্বাসন দেওয়া হবে।’’ কেন্দা এরিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও ভিত্তি রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন না, দাবি নীলাদ্রিবাবুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন