নাম তোলার সময় নিয়ে অভিযোগ

চলতি বছর, ‘শিক্ষক দিবসে’র অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষকদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশিকা জারি করেন।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০০:১৫
Share:

রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় মেলেনি। এমনই অভিযোগ দুর্গাপুর মহকুমার বহু শিক্ষকের। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হতে পারেন। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুরের সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দফতরের গাফিলতিতেই এমনটা ঘটেছে।

Advertisement

চলতি বছর, ‘শিক্ষক দিবসে’র অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষকদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশিকা জারি করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, বিমার সুযোগ পেতে প্রয়োজনীয় ফর্মপূরণ করে তা নথিপত্র-সহ জেলা ‘স্বাস্থ্যসাথী সেলে’ ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।

মহকুমার নানা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ, ওই নির্দেশিকা সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দফতর তাঁদের ই-মেল করে জানায়, ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর একটা নাগাদ। অর্থাৎ নাম তুলতে এক দিন মাত্র সময় পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত শিক্ষকের জন্য ফর্ম জোগাড়, তা পূরণ করা এবং নথিপত্র জমা নেওয়ার মতো নানা প্রক্রিয়া সম্ভব হয়নি অনেক স্কুলেই।

Advertisement

নথিপত্রের তালিকাটিও দীর্ঘ। সেই তালিকায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ আরও নানা কিছু রয়েছে। সব কটি নথির ফটোকপি ও নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে তা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কাঁকসার সিলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পাল বলেন, ‘‘পুজোর ছুটির পরে যাতে ফের নতুন করে ফর্মপূরণের সুযোগ দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছি স্কুল পরিদর্শকের দফতরে।’’

বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুরের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক চিনু ঝা’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) তথা মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘কার গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন