নেই রক্ষী, মহিলা ওয়ার্ডে প্রবেশ অবাধ

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা যায়, রক্ষী না থাকায় রোগীর সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও পরিজনেদের ভিড় লেগে রয়েছে। মহিলা ওয়ার্ড এমনকী, লেবার রুমে ঢুকে পড়াও আশ্চর্যের নয়।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৭:২০
Share:

অবাধে এ ভাবেই চলে যাতায়াত।—নিজস্ব চিত্র

নিরাপত্তারক্ষী সাকুল্যে ৩৬ জন। তবে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী এক জনও নেই। জোড়াতালি দেওয়া সংসারে মহিলা ওয়ার্ডগুলি অরক্ষিতই থেকে যায় বর্ধমান মেডিক্যালে।

Advertisement

হাসপাতালের দাবি, নিরাপত্তার বেহাল অবস্থা দেখে রাজ্য সরকার ৮ জন সুপারভাইজার ও ২৮৪ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেয়। কিন্তু বছর পার হলেও তা নিয়োগ হয়নি। ফলে, ওই ৩৬ জনকে দিয়েই চলছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের ১৫টি ওয়ার্ড এবং অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। দুই হাসপাতালের টানাটানিতে নিরাপত্তায় টানও পড়ে। ফলে বিভিন্ন সময়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে গোলমালের ছবি হাসপাতালে চেনা।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা যায়, রক্ষী না থাকায় রোগীর সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও পরিজনেদের ভিড় লেগে রয়েছে। মহিলা ওয়ার্ড এমনকী, লেবার রুমে ঢুকে পড়াও আশ্চর্যের নয়। হাসপাতালের এক বিভাগীয় কর্তার কথায়, “দিনের বেলায় এই অবস্থা হলে রাতের হাসপাতাল কতটা ভয়ানক বুঝতে পারছেন।” এক প্রবীণ নার্সের কথায়, “নিরাপত্তাকর্মীর অভাবে মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষদের অবাধ প্রবেশ।” গড়ে ১৮০০ রোগী, তাঁদের পরিজন, চিকিৎসক-নার্স-কর্মী মিলিয়ে পাঁচ হাজার মানুষ হাসপাতালে থাকে। কার্যত নিরাপত্তাহীনতায় তাঁদের হাসপাতালে কাটাতে হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “খুব দ্রুত নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি বদলাতে চলেছ। নিরাপত্তারক্ষী ও সুপারভাইজার নেওয়ার জন্য সরকার অনুমোদিত সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র চাওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৮৪ জন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে ৫০ জন মহিলা নিরাপত্তাকর্মী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের তিন বেলায় রাখারও কথা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও অনাময়, মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজে নিরাপত্তার কাজে ওই কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি রোগীর পরিজনদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীর বচসার কথা মাথায় রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, যে কোনও পরিস্থিতিতে রোগীর পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত না বাড়ালে সেই কর্মীকে বরখাস্ত করা হবে। এ ছাড়া ‘ভিজিটিং আওয়ার্সে’র বাইরে হলুদ কার্ড ছাড়া কিংবা কাজের সময় ঘুমিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন