Mid day Meal

মিড-ডে মিলের নতুন মেনু, প্রশ্ন সেই বরাদ্দে

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে তিন হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে। এত দিন স্কুলগুলি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী মিড-ডে মিলের খাবারের তালিকা ঠিক করত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্কুলগুলিতে মিড-ডে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ‘মেনু’ বেঁধে দিল জেলা প্রশাসন। ওই তালিকা অনুযায়ী মিড-ডে মিল রান্না করতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের পুষ্টির জোগান ঠিক রাখতে এই পদক্ষেপ। এ ছাড়া, বিভিন্ন সময়ে জেলার নানা স্কুল থেকে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। সে কারণেও নির্দিষ্ট ‘মেনু’ বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের একাংশ মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে তিন হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে। এত দিন স্কুলগুলি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী মিড-ডে মিলের খাবারের তালিকা ঠিক করত। প্রশাসনের কর্তারা জানান, এর ফলে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড-ডে মিলের খাবার সংক্রান্ত নানান অভিযোগ ওঠে। যেমন, পুষ্টির তালিকা অনুযায়ী খাবার না দেওয়া ও যেটা দেওয়া হত, তার মান নিয়ে অনেক সময়ে প্রশ্ন ওঠে। এই সব অভিযোগ তুলে অনেক সময়ে বিভিন্ন স্কুলে বিক্ষোভ হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ বলে জানান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিক্ষা) শান্তনু কোনার। এ নিয়ে সম্প্রতি জেলায় পরিষদে শিক্ষা স্থায়ী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শান্তনু কোনার বলেন, “পড়ুয়াদের পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করা হয়েছে। জেলার স্কুলগুলিকে এই মেনু অনুযায়ী মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সপ্তাহে ছ’দিনের জন্য নির্দিষ্ট মেনু ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

শিক্ষকদের একাংশ জানান, মিড-ডে মিলের জন্য দৈনিক প্রায় ১৪ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেই টাকায় ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি, সয়াবিন প্রভৃতি খাবার দেওয়া যাবে? রথতলা মনোহর দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, “আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মতোই মিড-ডে মিল দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং এই ভাবেই আমরা মিড-ডে মিল চালাই। আগামীদিনেও এই প্রচেষ্টা জারি থাকবে।” কৃষ্ণপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনারও বলেন, “নির্দেশ মতো আমরা মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়। তবে সরকারের কাছে আবেদন, বরাদ্দ বৃদ্ধির দিকটি নজর দেওয়া হোক।” বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শান্তনু জানান, বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন