Asansol Road Accident

ফের জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অবরোধ

জাতীয় সড়কে ফুট ওভারব্রিজ অথবা আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ নতুন কিছু নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ০৯:০৭
Share:

দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

এক মাসও হয়নি। ফের ১৯ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল। মঙ্গলবার রাত ১০টায় গাড়ুই গ্রাম লাগোয়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান সাইকেল আরোহী গোকুল চট্টোপাধ্যায় (৫৭)। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ-বিক্ষোভ করেন। এর জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল পুরসভার স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ুই গ্রামের বাসিন্দা গোকুল চট্টোপাধ্যায় রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ধানবাদগামী একটি ট্রাক ওই প্রৌঢ়কে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ট্রাকের হদিস পায়নি পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সড়ক লাগোয়া গাড়ুই, মরিচকোটা, সেন-র‌্যালে-সহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার ও যাতায়াতের জন্য একটি ফুট ওভারব্রিজ অথবা একটি আন্ডারপাস তৈরি করতে হবে। তাঁদের দাবিকে সমর্থন করেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি শ্রাবণী মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “আমরা বার বার এলাকায় একটি ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস তৈরির দাবি জানিয়েছি। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই অনুরোধ কানেই তুলছেন না।” মঙ্গলবার রাতে অবরোধের জেরে পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্য যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে পৌঁছন কমিশনারেটের এসিপি (‌সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাস। তাঁকে পেয়ে ক্ষোভের মাত্রা বাড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাড়ুই লাগোয়া এলাকায় কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকেন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় তাঁরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, পথচারীদের দিকে কোনও খেয়াল রাখেন না। অভিযোগ প্রসঙ্গে এসিপি বলেন, “পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।” তাঁর আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।

তবে জাতীয় সড়কে ফুট ওভারব্রিজ অথবা আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ নতুন কিছু নয়। গত এপ্রিলে শীতলা মোড়ের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে, লাগোয়া এলাকায় ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ হয়েছিল। স্থানীয়দের ক্ষোভ, সে বারও পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বারওয়াড্ডার প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজন মতো তিন কিলোমিটারের ব্যবধানে ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস তৈরির কথা রয়েছে। সেই মতো কুলটির চৌরঙ্গি, রানিগঞ্জের বাঁশড়া, অন্ডাল ও জামুড়িয়ার চাঁদায় ফুট ওভারব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, “গাড়ুই গ্রাম-সহ সড়ক লাগোয়া লোকালয়গুলির পাশে সার্ভিসরোড বানানো হয়েছে। স্থানীয়দের সেই পথ দিয়ে যাতায়াতের অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু তা না করে, বাসিন্দারা সড়কের ডিভাইডার বা রেলিং ভেঙে রাস্তা পারাপার করায় দুর্ঘটনা ঘটছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন