দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট।
ফের দুর্ঘটনা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি)। বৃহস্পতিবার ডিএসপি-র বন্ধ ব্লুমিং অ্যান্ড বিলেট মিলে বিদ্যুতের কাজ করার সময়ে ‘কন্ট্রোল ফিউজ় সুইচ’ (সিএফএস) ফেটে বিভূতি বিশ্বাস নামে এক ঠিকাকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ব্লুমিং মিল ফ্লোরে প্রজেক্ট বিভাগের অধীনে কাজ করছিলেন ঠিকাকর্মীরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ২০ বছরের বিভূতিও। পর্যাপ্ত বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বিভূতি পুরনো একটি লাইন থেকে সংযোগের ব্যবস্থা করতে যান। আচমকা ফেটে যায় সিএফএস। আগুন ধরে যায় তাঁর জামায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্ল্যান্ট মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ডিএসপি হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয় বিভূতিকে।
গত ২০ নভেম্বর ডিএসপি-র দু’নম্বর ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে গলিত লোহা ল্যাডেলে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনায় মোট তিন জন ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়। এক জন ঠিকাকর্মী এখনও বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিটু নেতা সৌরভ দত্ত বলেন, “লাগাতার অনভিজ্ঞ ঠিকাকর্মী নিয়োগ, নির্দিষ্ট ‘সুপারভাইজ়ার’ না থাকা, ঠিকা সংস্থার সঙ্গে ডিএসপি-র কাজের সমন্বয়ের অভাব প্রভৃতি কারণে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে।” বিএমএস নেতা অরূপ রায়, আইএনটিইউসি নেতা দেবাশিস চৌধুরীরা বলেন, “কর্তৃপক্ষকে সব বিভাগে ‘সেফটি’ বিষয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে।” যদিও, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তাকে সবসময়ই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ডিএসপি-র তরফে ইলেকট্রিক্যাল ও সেফটি বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।