Jitendra Tiwari

‘তৃণমূল সরকার নয়, শেষ কথা বলবেন মানুষ’, আদালতে নিজেই সওয়াল করলেন বিজেপির জিতেন্দ্র

গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। কম্বল নেওয়ার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান একাধিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১০:১১
Share:

আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। —নিজস্ব চিত্র।

কম্বলকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে জোর উত্তেজনা আসানসোলে। শনিবার ভিন্‌রাজ্য থেকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের পর রাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে আসানসোলের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জিতেন্দ্রকে। আদালতে নিজের জন্য নিজেই সওয়াল করেন পেশায় আইনজীবী ওই বিজেপি নেতা। তার আগে পুলিশের ঘেরাটোপে আদালতে যাওয়ার পথে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার বা পুলিশ নয়, শেষ কথা বলবে আসানসোলের মানুষ।’’ তিনি ইঙ্গিত করেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দিকে। অন্য দিকে, বিজেপি নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পালরা। যদিও বিজেপি নেতার গ্রেফতারির ঘটনা আইনতই হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া শাসকদল।

Advertisement

গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক ব্যক্তির। এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়ে দেয় ওই অনুষ্ঠান করার জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। একাধিক বার জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর পর শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে দমদম বিমানবন্দর হয়ে জিতেনকে নিয়ে যাওয়া হয় দমদমের সরকারি হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ।

আদালতে জিতেন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আগামিকাল (সোমবার) এই মামলার শুনানি রয়েছে। সে জন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু’দিনের জন্য দিন। তারপরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দিন।’’ বিচারক অবশ্য আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা), ৩৪ ধারায় (যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করা) মামলা রুজু করে পুলিশ।

Advertisement

জিতেন্দ্রর গ্রেফতারি নিয়ে জোর রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলছে। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের যুক্তি, আইন আইনের পথে চলছে। কারণ, কম্বল বিতরণ নিয়ে যে দুর্ঘটনা হয়েছে, তার দায় বিজেপি নেতাদেরই নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেও গ্রেফতারির দাবি জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন