প্রতারণায় ধৃত

নবান্নের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। বুধবার শহরের রামকৃষ্ণ রোডের বাসিন্দা দীপেন্দু আদিত্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতও হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৯
Share:

নবান্নের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। বুধবার শহরের রামকৃষ্ণ রোডের বাসিন্দা দীপেন্দু আদিত্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতও হয় তাঁর।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে দফায় দফায় ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন দীপেন্দু। তেমনই এক জন লক্ষ্মীপুর মাঠের বাসিন্দা বিপত্তারণ ঘোষ। জানা গিয়েছে, বিপত্তারণবাবুর গ্যারাজে গাড়ি সারাতে যেতেন অভিযুক্ত। আলাপ পরিচয় হওয়ার পরে নিজেকে নবান্নের উঁচু পদের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন তিনি। বাবা আবগারি দফতরের কর্মী বলেও জানান। এরপরেই বছর পঁচিশের দীপেন্দুর কাছে ছেলের চাকরির একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানান বিপত্তারণবাবু। দীপেন্দু টাকা পেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসস দেন। সঙ্গে আরও কেউ চাকরি চাইলে দেখা করার কথা বলেন। অভিযোগ, এভাবেই জনা পনেরো যুবকের কাছ থেকে টাকা নেন তিনি। অন্য শংসাপত্রও নেন। কিন্তু চাকরি হয় না। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্তের বাড়ি যান বিপত্তারণবাবুরা। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। এরপরেই থানায় যান তাঁরা। বিপত্তারণবাবুর আইনজীবী অরবিন্দ সামন্তের অভিযোগ, বর্ধমান থানায় প্রথমে জানানো হলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। পরে সিজেএম আদালতে মামলা করেন তাঁরা। সিজেএমের নির্দেশে থানা তদন্ত শুরু করে। তারপরেই ধরা করা হয় দীপেন্দুকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন