জমে উঠেছে আসানসোল উৎসব। মাঠে বাড়ছে ভিড়। শুক্রবার। ছবি: শৈলেন সরকার
আসানসোল উৎসব জমে উঠেছে নিজের মেজাজে। দর্শকদের কাছে স্বচ্ছ মেলার তকমা পেয়ে এই উৎসব যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
আসানসোল-কল্যাণপুর হাউজিং মাঠে সান্ধ্যকালীন আড্ডা থেকে গান-বাজনা, পচ্ছন্দের জিনিস কেনার পরে রাতের খাওয়াটা খেয়ে নিলেই হল। শিশুদের মনোরঞ্জনের হরেক রকম মাধ্যম মেলা জুড়ে রয়েছে। প্রতদিন মেলার মাঠে নামী-বেনামী স্কুল থেকে কলজের পড়ুয়াদের সঙ্গীত, নৃত্য, গিটার, আবৃত্তির ছন্দ শেষ হতেই কলকাতার শিল্পীদের সুর-তাল, লয়ে মুগ্ধ হয়ে ওঠা শ্রোতাদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে এই উৎসবে।
মেলায় পাওয়া যাচ্ছে গুজরাত, শান্তিকিনেতনের হস্তশিল্প, পূর্ব বর্ধমানের ডোকরা, পুরুলিয়ার তসর, মহিলাদের সাজসজ্জার নানা সামগ্রী থেকে আসবাবপত্র, গাড়ির স্টল। আসানসোল পুর-এলাকার সয়ম্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিপুল সম্ভারের পসরাও রয়েছে। আসানসোলের কলেজ পড়ুয়া অয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “নানা রঙের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে পচ্ছন্দের খাবারের লোভেই প্রতিদিন মেলায় আসছি সহপাঠীর সঙ্গে।’’ শহরের বাচিকশিল্পী অস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বমানের শব্দ ও আলোর উপস্থাপনে নিজেদের অনুষ্ঠান করতে পেরে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। দু’বছরের মেলা যেন বার্ষিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।’’
আয়োজক সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু জানান, ইতিমধ্যেই দেবশ্রী রায়, ইমন চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, সৈকত মিত্র, হৈমন্তী শুক্ল, বততী বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়তী চক্রবর্তী, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোম চৌধুরীরা যথাক্রমে ব্যালে, সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে গিয়েছেন। আজ, শনিবার ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও সম্প্রদায়ের ব্যলে, পূর্ণদাসের বাউল, রবিবার চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গানের আসরের আয়োজন করা রয়েছে।
আসানসোল উৎসব ২০১৬ সালে শুরু করেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রথম বছর উৎসব তেমন ভাবে জমে না উঠলেও দ্বিতীয় বর্ষেই সাফল্যে খুশি আয়োজকেরা। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘মেলার সাফল্যে আমরা খুশি।’’