খরচ ও কাজের মান নিয়ে বৈঠক

জেলায় বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি

উন্নয়নের টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে গেলেন বিধানসভার স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা। গত বুধবার থেকে বিধানসভার ওই কমিটির ১৫ জন সদস্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে বিধায়করা তাঁদের তহবিল থেকে কী কী কাজ করেছেন, কাজের মান খতিয়ে দেখছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৪
Share:

উন্নয়নের টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে গেলেন বিধানসভার স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা। গত বুধবার থেকে বিধানসভার ওই কমিটির ১৫ জন সদস্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে বিধায়করা তাঁদের তহবিল থেকে কী কী কাজ করেছেন, কাজের মান খতিয়ে দেখছেন। স্থানীয় বিডিও, এসডিও থেকে বাস্তুকারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথাও বলছেন। শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) দফতরে জেলাশাসক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। হাজির ছিলেন বেশ কিছু বিধায়কও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁরা বর্ধমান গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা শিল্পাঞ্চলের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসন ও বিধায়কদের সামনেই ‘বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের’ টাকা কী ভাবে খরচ হচ্ছে তা খুঁটিয়ে জানেন। একই সঙ্গে ওই কমিটির সদস্যরা জানতে চান, জেলা উন্নয়নের প্রকল্প কী ভাবে করা হয়, তার রূপায়নের জন্য কী পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রশাসন। আলোচনাতে উঠে আসে, বিধায়করা বড় প্রকল্পের প্রস্তাব করলে তা করতে প্রশাসনের সুবিধা হয়। ওই সব প্রকল্প বেশি মানুষের উপকারে লাগতে পারে বলেও মনে করা হয়। এ ছাড়াও ওই তহবিলের ‘কন্টিনজেন্সি ফান্ড’ বাড়ানোর জন্যও সুপারিশ করা হয়। বিধায়কদের ওই কমিটির সদস্যরা জানান, প্রকল্পের সুপারিশ করা হল, অথচ জমির অভাবে প্রকল্পটাই বাতিল করতে হল, এমন যেন না হয়। সে জন্য কমিটির সদস্যদের পরামর্শ, প্রকল্প সুপারিশ করার আগে ছোটখাটো সমস্যা এড়িয়েই জমা দেবেন।

ওই কমিটির সদস্য, মন্তেশ্বরের বিধায়ক সজল পাঁজা বলেন, ‘‘২০১৫ সালের বিধায়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষের মুখে। নতুন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ ওই কমিটির সভাপতি, মালদার হবিবপুরের বিধায়ক খগেন মুর্মু জানান, বর্ধমানে বিধায়ক তহবিলের খরচ ও কাজের মান নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘গত আর্থিক বছরের মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ বাকি। সেই কাজও আগামী দু’মাসের মধ্যে শেষ করা হবে বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছেন।’’ এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রণব বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন