TMC

তৃণমূল কার্যালয় ভাঙায় ‘দ্বন্দ্ব’ মেমারিতে

তৃণমূলের প্রাক্তন মেমারি শহর সভাপতি তথা বর্তমানে পুরসভার প্রশাসক স্বপন বিষয়ীর অবশ্য দাবি, ওই কার্যালয়ের পিছনে পুরসভার অতিথিশালা তৈরি হয়েছে। কার্যালয়টির জন্য যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মেমারি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

এখানেই ছিল তৃণমূলের কার্যালয়টি। নিজস্ব চিত্র।

ছ’বছর আগে তৈরি তৃণমূলের একটি কার্যালয় ভেঙে দিল মেমারি পুরসভা। অভিযোগ, পূর্ত দফতরের জায়গায় সেটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই এলাকায় পুরসভার অতিথিশালা তৈরি হয়েছে। সেখানে যাতায়াতে কার্যালয়টি সমস্যা তৈরি করছিল বলেও অভিযোগ। তবে বিষয়টি নিয়ে চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে মেমারির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্তোষ বোয়ালের উদ্যোগে নতুন বাসস্ট্যান্ডের মূল প্রবেশপথের কাছে ওই কার্যালয় তৈরি হয়। তাঁর অভিযোগ, দিন তিনেক আগে পুরসভার লোকজন এসে ইটের গাঁথনি দেওয়া কার্যালয়টি ভেঙে দিয়েছে। সন্তোষবাবুর অভিযোগ, ‘‘ছ’বছর ধরে ওই কার্যালয় থেকে ওয়ার্ডের কাজকর্ম পরিচালনা করছি। কেন কার্যালয় ভাঙা হল, বুঝতে পারছি না। আমার ধারণা, যেহেতু আমি দলের গোষ্ঠী-রাজনীতিতে পুর-প্রশাসকের সঙ্গে নেই, তাই কার্যালয়টি ভাঙা হয়েছে।’’

তৃণমূলের প্রাক্তন মেমারি শহর সভাপতি তথা বর্তমানে পুরসভার প্রশাসক স্বপন বিষয়ীর অবশ্য দাবি, ওই কার্যালয়ের পিছনে পুরসভার অতিথিশালা তৈরি হয়েছে। কার্যালয়টির জন্য যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেই কার্যালয়টি ভাঙা হয়েছে। ভাঙার আগে কার্যালয়ে থাকা জিনিস সরিয়ে নিয়েছেন দলের কর্মীরা। স্বপনবাবুর আশ্বাস, ‘‘ওই এলাকায় ফের একটি কার্যালয় তৈরির উদ্যোগ হবে।’’ তাঁর সঙ্গে কথা বলে কার্যালয় ভাঙার কথা মানতে চাননি সন্তোষবাবু।

Advertisement

মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি দেখছি।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষালের দাবি, ‘‘ওয়ার্ড নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে কার্যালয়টি ভাঙা হলে, বিতর্ক হত না। তবে ওই এলাকায় দলের কার্যালয় তৈরির উদ্যোগ হলে ভাল হয়।’’ দলের শহর সভাপতি অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আলোচনা করেই বিষয়টি মেটাতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন