ভিড়ে ঠাসা বাজার। নিজস্ব চিত্র।
এই বাজার থেকে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সব্জি যায়। প্রায় একশোটি গ্রামের চাষিরা এই বাজারের উপরে নির্ভরশীল। অথচ, চাঁদার জুলুম, বেহাল নিকাশি, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকা-সহ বিভিন্ন কারণে পূর্বস্থলীর পারুলিয়া বাজারটি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি চাষি ও ব্যবসায়ীদের। তাঁদের অভিযোগ, সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি।
চাষিরা জানান, ফি দিন ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত বাজার চলে। প্রায় দু’শো পাইকারি ব্যবসায়ী এখান থেকে সব্জি কেনেন। অথচ এই বাজারে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। বাজার লাগোয়া এসটিকেকে রোডের উপরেই ট্রাক, বাস, ভ্যান দাঁড়ায়। রাস্তায় দাঁড়িয়েই চলে জিনিসপত্রের বিকিকিনি। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময়েই বাজারে ঢোকা দায় হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ চাষিদের। তা ছাড়া বাজারের মধ্যে থাকা নিকাশি নালাটিও নিয়মিত সাফাই হয় না বলে অভিযোগ। শঙ্কর ভৌমিক নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘‘যে কোনও অনুষ্ঠানের টাকা তুলতে উদ্যোক্তারা বাজারে এসে চাঁদা দাবি করেন। সব সময় যা মেটানো সম্ভব হয় না।’’
বাজার কমিটির সভাপতি কালীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, ‘‘বাজার লাগোয়া তিনটি চৌমাথা মোড় রয়েছে। পথচারী, ব্যবসায়ী, পড়ুয়া, বাস-অটোর যাত্রীরা দিনভর এই রাস্তাগুলি ব্যবহার করেন। যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ থাকা দরকার।’’ মদন সাহা ও মাধব দাসদের মতো ব্যবসায়ীদের দাবি, চাঁদার জুলুম রুখতে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কাওকে টাকা দেওয়া হবে না।
পূর্বস্থলী থানার তরফে দাবি করা হয়েছে, শারদোৎসব-সহ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলিতে ভিড় সামলাতে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। নিকাশি-সহ বাজারের পরিকাঠামো উন্নতির কাজ টাকার অভাবে আটকে গিয়েছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধান শিপ্রা দাসের।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় চাষি নারায়ণ মান্না, রথীন ঘোষেরা বলেন, ‘‘অবস্থা এমনই অনেককেই এই বাজার ছেড়ে কালেখাঁতলা ও ফলেয়ায় সব্জি বিক্রি করতে যেতে হচ্ছে।’’