খুচরো নিচ্ছে না ব্যাঙ্ক, ভোগান্তি

সকালে সবে দোকান খুলেছিলেন মুদির দোকানদার। ‘কয়েন না নোট? কয়েন হলে নেব না।’— ক্রেতাকে দেখে মন্তব্য দোকানদারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

রাশিরাশি: নিজস্ব চিত্র

সকালে সবে দোকান খুলেছিলেন মুদির দোকানদার। ‘কয়েন না নোট? কয়েন হলে নেব না।’— ক্রেতাকে দেখে মন্তব্য দোকানদারের।

Advertisement

দৃশ্য দুই: প্রায় একশো টাকার মিষ্টি কিনেছেন এক জন। কাউন্টারে গিয়েই মিষ্টির দোকানদার বললেন, ‘দাদা কয়েন নয়। পরে দেবেন।’ বলেই বাক্স খুলে দেখিয়ে দিলেন খুচরোর সংখ্যা! দু’টো ছবিই কালনার। কালনার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক খুচরো টাকা জমা নিচ্ছে না। মহাজনেরাও খুচরোতে লেনদেন করছেন না। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালাতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

শহরের চকবাজারের মিষ্টির দোকান মালিক রণজিৎ মোদক জানান, দৈনিক প্রায় ৪০ হাজার লেনদেনের মধ্যে সাত-আট হাজার টাকার কয়েন জমা পড়ছে। মাঝেসাঝে দোকানে প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি খুচরো টাকা জমা হচ্ছে। একই হাল মুদির দোকানেও। চায়ের দোকানের মালিক পরিমল গোস্বামী জানান, বর্তমানে খুচরোর জোগান বাজারে বেশি। তা দিয়ে মাল দিতে চাইছেন না মহাজনেরা।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ক্রেতারা জানিয়েছেন, শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশ এক টাকার কয়েন নিচ্ছেন না। মধুসূদন পাল নামে এক জন জানান, ‘‘বাজারে নোটের আকাল থাকায় লক্ষ্মীর ভাঁড় ভাঙতে হয়েছিল। কিন্তু খুচরো নিয়ে বাজারে গেলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’’

মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, সমস্যা সমাধানে দরকারে অভিযান চালানো হবে। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘কয়েনের সমস্যা নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে কথা বলেছি।’’ যদিও কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাঙ্কে কর্মীর সংখ্যা কম। তার উপরে কয়েন গোনার বিষয় থাকলে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম লাটে উঠবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন