কর্মীর অভাবে পরিষেবায় বিঘ্ন ব্যাঙ্কে, ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা

একটি ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল গোটা দশেক গ্রাম। সাধারণ আমানতকারীরা তো বটেই, এই ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা, পেনশন প্রাপকেরাও। কিন্তু, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ব্যাঙ্কে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫১
Share:

একটি ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল গোটা দশেক গ্রাম। সাধারণ আমানতকারীরা তো বটেই, এই ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা, পেনশন প্রাপকেরাও। কিন্তু, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ব্যাঙ্কে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। বুদবুদের দেবশালায় ওই শাখায় উন্নত পরিষেবার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়ে ব্যাঙ্কটির দুর্গাপুরের রিজিওনাল ম্যানেজারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বেশ কিছু গ্রাহক।

Advertisement

দেবশালা পঞ্চায়েত এলাকায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ছাড়া আর কোনও ব্যাঙ্ক নেই। অথচ, এলাকায় বেশ কিছু স্কুল, অফিস রয়েছে। তাদের লেনদেন সারতে হয় এই ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন-দিন ব্যাঙ্কের উপরে চাপ বাড়লেও কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। তাই ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিষেবা পেতে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছেন গ্রাহকেরা। দেবশালা গ্রামের মোহনদাস পাত্র জানান, পেনশনের টাকা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী-সহ নানা প্রকল্পের টাকা এই শাখা থেকেই নিতে হয় এলাকার উপভোক্তাদের। তার উপরে প্রতি দিন আমানতকারীদের লেনদেনের কাজ তো আছেই। কিন্তু, সমস্ত কাজ সামলানোর জন্য কর্মী-আধিকারিক মিলিয়ে রয়েছেন মোটে তিন জন। কর্মী কম থাকায় কোনও কাজের জন্য এক বার ব্যাঙ্কে গেলে সারা দিন কেটে যায়। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের এই শাখায় কর্মী বাড়ানো প্রয়োজন।’’

বাসিন্দারা আরও জানান, একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার সময়ে ব্যাঙ্কে প্রচণ্ড ভিড় হয়। কর্মী কম থাকায় আরও দেরি হয়। সারা মাস ধরেই কোনও না কোনও ভাতার টাকা আসে ব্যাঙ্কে। তাই ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকদের ভুগতে হয়। দেবশালার বাসিন্দা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধুভূষণ মুখোপাধ্যায়রা জানান, অবিলম্বে এখানে আরও কর্মী দেওয়ার দাবি জানিয়ে ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। রিজিওনাল ম্যানেজার এ কে মিশ্র বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের তরফে চিঠি পাওয়ার পরে ওখানে বাড়তি কর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন