—প্রতীকী চিত্র।
মাদক ফেন্সিডিল পাচারের দায়ে দুই লরি চালককে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের, বলে জানিয়েছে আদালত। আরও পর্যবেক্ষণ, বাজেয়াপ্ত হওয়া দু’টি লরি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দুই চালক জেলে রয়েছেন। তাঁরা যতদিন জেলে রয়েছেন, সাজার মেয়াদ থেকে সেই সময়কাল বাদ যাবে। মঙ্গলবার মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক মনোজ কুমার রাই এই সাজা ঘোষণা করেছেন। সাজাপ্রাপ্তদের নাম মহারাজ খান ও বিনোদ যাদব। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার গঙ্গাপ্রসাদ মধ্যপাড়ায় মহারাজের বাড়ি। অন্য জনের বাড়ি আদতে উত্তর প্রদেশের মেহেনাজপুর থানার ঢাকা গ্রামে। ঘটনার সময় বিনোদ কলকাতার নিউ আলিপুরের চেতলা রোডে থাকতেন।
সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানান, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বর্ধমান-সিউড়ি রোডের পাশে পালিতপুর মোড়ের কাছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে ট্রাকে করে ফেন্সিডিল এনে তা মুর্শিদাবাদের ডোমকলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর পায় পুলিশ। সেই মতো বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক দু’টিকে আটক করে। ডিএসপি ট্রাফিক (২) রাকেশ চৌধুরী, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী ও বর্ধমান-১ বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ট্রাক দু’টিতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে ৪ হাজার ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল সিরাপ উদ্ধার হয়। ফেন্সিডিলের বৈধ কোনও কাগজপত্র ট্রাক চালকেরা দেখাতে পারেননি। ঘটনার বিষয়ে মাদক আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ট্রাক চালকদের গ্রেফতার করা হয়। কেসের তদন্তকারী অফিসার অনুপ দে ২৩ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। জামিন পেতে ধৃতেরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। দু’টি ক্ষেত্রেই তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বাজেয়াপ্ত হওয়া ট্রাক দু’টি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।