ভোটের মাঠে দৌড় উত্তমের

প্রচারের শেষ দিন, শনিবার সকালে হুড খোলা জিপে রায়নার গ্রামে-গ্রামে প্রচার সারলেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

রায়নায় প্রচারে উত্তম সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

সংগঠনের কাজে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার নানা প্রান্তে ছুটতেন তিনি। ভোটের সময়ে প্রচার সারতেন বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এ বার তিনিই জেলা পরিষদের ৮ নম্বর আসনে প্রার্থী। প্রচারের শেষ দিন, শনিবার সকালে হুড খোলা জিপে রায়নার গ্রামে-গ্রামে প্রচার সারলেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করব। জনপ্রতিনিধি ছিলাম না, তবে ভালবেসে মানুষের কাজ করতাম। এখন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”

Advertisement

১৯৯৩ সালে বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন উত্তমবাবু। ১৯৯৮ সালে হেরে যান। সংরক্ষণের গেরোয় তারপর থেকে তিনি পুরভোটে দাঁড়াতে পারেননি। ১৯৯৮ সালে বর্ধমান শহর থেকে যে ক’জন কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কালীবাজারের বাসিন্দা উত্তমবাবু। গো়ড়া থেকেই তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। ২০১৩ সালে উত্তমবাবুর স্ত্রী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা শিখাদেবী পুর-সদস্য হন। এ বার ভোটে উত্তমবাবুর সঙ্গে তিনিও রায়নার নানা গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন।

উত্তমবাবু বলেন, “ছোট থেকে মাঠে-ঘাটেই রাজনীতি করছি। জেলার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি। ২০১৬ সালে রায়না বিধানসভার পর্যবেক্ষক থাকার সুবাদে এখানকার মানুষজনের সঙ্গে যোগ তৈরি হয়। গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে এখন মানুষের দরবারে হাজির হয়েছি।” শিখাদেবীর আক্ষেপ, “দু’বছরের ছেলেটা অন্তত রাতে বাবার দেখা পেত। এ বার বোধহয় সেটাও হবে না।”

Advertisement

তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী কাশী পাত্র। এলাকায় তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখন চোখে পড়ে না। কাশীবাবুর অভিযোগ, “সিপিএম আমলেও রায়নায় সন্ত্রাস হত। এখনও হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে রায়নার চেয়ে বর্ধমানের লোকের ভিড় বেশি। শহরের লোকেরা গ্রাম দাপাচ্ছে!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement