নোট বদল না উন্নয়ন, মন্তেশ্বরে জোর টক্কর

দেশের অর্থনীতি বাঁচাতেই পাঁচশো-হাজারের নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মন্তেশ্বরের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে বাঘাসন পঞ্চায়েতের আউশগ্রাম মেলাতলায় একটি সভা করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

দেশের অর্থনীতি বাঁচাতেই পাঁচশো-হাজারের নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মন্তেশ্বরের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে বাঘাসন পঞ্চায়েতের আউশগ্রাম মেলাতলায় একটি সভা করেন তিনি। বক্তব্যের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল নোটের কথা। মন্ত্রীকে দেখতে ভিড়ও হয় ভালই। এ দিনই দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেনুড়ের মৌসা গ্রামে সভা করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্যের পুরোটা জুড়েই ছিল তৃণমূলের উন্নয়নের কথা।

Advertisement

কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা গ্রামের ৭৫ শতাংশ এবং শহরের ৫০ শতাংশ মানুষকে খাদ্যসুরক্ষা দিতে চায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সকলের জন্য খাদ্য।’’ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসা করে তিনি জানান, চাষিরা যাতে ধানের ভাল দর পায় তার জন্য কুইন্টাল প্রতি ধান কেনা হবে ১৪৭০ টাকা দরে। তবে ধান বিক্রি করার পরে চাষিদের চেক দেওয়া হবে না বরং সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে বলেও জানান তিনি। মন্তেশ্বরের জন্য নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘মালডাঙায় একটি পাঁচ হাজার মেট্রিক টনের গোডাউন তৈরি করা হবে। এর জন্য খরচ হবে সাড়ে সাত কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য জায়গা দেখাও হয়ে গিয়েছে।’’ এ ছাড়াও পুটশুরি এবং সোনাডাঙা এলাকায় জলপ্রকল্পের কাজ, চৈতন্য ভাগবতের রচয়িতা বৃন্দাবন দাসের পাঠবাড়ি রয়েছে দেনুড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ করা হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

বাবুল অবশ্য তাঁর বক্তব্যে পুরোটাই দিদির ‘নোট-নীতি’র সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওরা বলছে মা, মাসিদের লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে হাত পরেছে। কিন্তু চিৎকার করেছে তাঁরা যাঁদের কালো টাকা আছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দিদি আপত্তি করেছেন। নাহলে তাঁর ভাইয়েরা টাকা পাবেন না।’’ খাদ্য সুরক্ষার চাল, শৌচাগার তৈরির টাকাও কেন্দ্র সরকার দেয় বলে জানান তিনি। শেষে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে গান ধরে মন মাতান জড়ো হওয়া কর্মী-সমর্থকদের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন