ঘরছাড়া নেতাকে ফেরাতে বাধা, দাবি বিজেপির

ঘরছাড়া এক নেতাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়ে পুলিশ ও শাসকদলের বাধায় মাঝপথে আটকে পড়তে হল বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। রবিবার দুপুরে আউশগ্রামের ওই নেতাকে বাড়ি ফেরানোর কর্মসূচি নিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘরছাড়া এক নেতাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়ে পুলিশ ও শাসকদলের বাধায় মাঝপথে আটকে পড়তে হল বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। রবিবার দুপুরে আউশগ্রামের ওই নেতাকে বাড়ি ফেরানোর কর্মসূচি নিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি। পুলিশ এবং তৃণমূল অবশ্য বাধা দেওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

এ দিন বিকেলে ঘৌড়দৌড় চটিতে দলের জেলা দফতরে বসে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আট মাস ধরে ঘরছাড়া আউশগ্রামের নেতা বিকাশ ভক্তকে ফেরাতে যাচ্ছিলাম। তিনি যাতে শান্তিতে বাস করতে পারেন সে জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু তৃণমূল ও পুলিশ যে কায়দায় রাস্তা আটকে ছিল, তা ভাঙতে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। আমরা সেটা চাইনি।’’

জেলা পুলিশ অবশ্য জানায়, কাউকে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি। তবে বিজেপি নেতৃত্বকে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে আউশগ্রামে যেতে হবে। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশকে ই-মেল করে কর্মসূচির কথা জানান জয়বাবু। রবিবার কোনও অনুমতি না নিয়েই তিনি সেখানে যেতে চাইছিলেন। আমরা তাঁকে ঠিক ভাবে অনুমতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’’

Advertisement

বিজেপি-র দাবি, আউশগ্রামের ছোড়া কলোনিতে বাড়ি তাদের নেতা বিকাশবাবুর। ওই এলাকায় বিজেপি-র একটি বড় সমাবেশের পরে ৮ জানুয়ারি থেকে তিনি ঘরছাড়া। সেই অবস্থাতেই জেলা পরিষদের ৫২ নম্বর আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দিন জেলা দফতরে বসে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘মাঝে এক বার বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু হুমকির জন্য এক রাত পরেই গ্রাম ছাড়তে হয়। বাড়ি ফেরানোর আর্জি নিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সাড়া মেলেনি।’’

জয়বাবুর দাবি, বিকাশবাবুকে ঘরে ফেরানো নিয়ে ৪ আগস্ট প্রশাসনিক স্তরে একটি বৈঠক হয়। সেখানেও বিকাশকে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী রাজ্য স্তরে বিষয়টি জানানোর পরে আমরা তাঁকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। সেই মতো জেলা প্রশাসনকে ই-মেল করা হয়। কোনও সাড়া না পেয়ে ভেবেছিলাম সম্মতি দেওয়া হয়েছে।’’

বিজেপি-র দাবি, ওই রাস্তার ওরগ্রাম জোড়াপুল, বলগোনা মোড়, স্কুল মোড় ও ইটাচাঁদা মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। আর পাশেই জড়ো হয়েছিল তৃণমূলের বাহিনী। সেই খবর পাওয়ার পরেই তালিত থেকে বিজেপি নেতারা গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। জেলা সভাপতি (বর্ধমান সাংগঠনিক) সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘পুজোর আগে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুজোর পরেও আটকে দেওয়া হল। কতটা অমানবিক!”

গোটা বিষয়টি নিয়ে আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দােরর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সব নাটক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন