আউশগ্রামে তোপ দিলীপের

বিজেপির বাসে হামলার নালিশ

এ দিন সভায় বাস ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সরব হন দিলীপবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি গাড়ি ভেঙে, কর্মীদের মারধর করে কি বিজেপিকে আটকানো যায়? তিন মাস সময় লাগল আমাদের এখানে সভা করার অনুমতি পেতে!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫১
Share:

বিজেপির সভা। নিজস্ব চিত্র

দলের সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার আউশগ্রামের রামনগরে সভা করতে আসেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-সহ দলের নেতারা। সেখানে যাওয়ার সময়ে আউশগ্রাম থানার কাছেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক বোঝাই চারটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ যদিও জানায়, এমন কোনও ঘটনার অভিযোগ মেলেনি। বাসে হামলা চালানোর কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলও।

Advertisement

এ দিন সভায় বাস ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সরব হন দিলীপবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি গাড়ি ভেঙে, কর্মীদের মারধর করে কি বিজেপিকে আটকানো যায়? তিন মাস সময় লাগল আমাদের এখানে সভা করার অনুমতি পেতে!’’ তবে শেষমেশ তাঁদের সভার অনুমতি দেওয়ায় পুলিশ শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।

সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি পুলিশের উপরে বারবার হামলার কথা তুলে ধরে শাসকদলকে দোষারোপ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করছে। হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওসি-কে মারধর করা হয়েছে। দিনহাটায় তিন জন পুলিশকে মারধর করেছে। পুলিশই আগলে রেখেছে তৃণমূলকে, ভোটে জেতাচ্ছে। তার পরে তৃণমূলই পুলিশকে মারছে! পুলিশের সুরক্ষা নেই।’’

Advertisement

তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডলকেও এ দিন হুঁশিয়ারি দেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কেষ্টবাবু (অনুব্রত) বলেছেন, নির্বাচন করতে দেব না, মনোনয়ন তুলতে দেব না। অনেকের জমিদারি দেখেছি, তুলেও দিয়েছি।’’ পুলিশ সভার অনুমতি না দিলেও এর পরে তাঁরা সভা করবেন বলে দাবি করেন তিনি। বালি, পাথর, কয়লা পাচার করে দেদার টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। এর সঙ্গে শাসকদল ও পুলিশ জড়িত বলেও তাঁর দাবি। আসানসোলের সাংসদ বাবুল বলেন, ‘‘রাজ্যে শুধু সন্ত্রাস আছে, শিল্প নেই। এরই মধ্যে রাস্তা দিয়ে আসার সময়ে দেখলাম, কেষ্টদা হাতজোড় করে রয়েছে। এ ভাবে সবারই হাতজোড় করে থাকার দিন শুরু হয়ে গেল।’’

বিজেপির অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির সভা, তার আবার এত কথা। যত সব মিথ্যে অভিযোগ।’’ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাসে হামলার কথাও মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম থানার এক কর্মীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপির বাস ভাঙচুরের কোনও অভিযোগ মেলেনি বলে পুলিশ জানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন