দুর্ঘটনার পরে মেমারি-মালডাঙা রাস্তায় চলছে অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন আগেই ফাগুপুরে দাঁড়িয়ে থাকা লরির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন ভিন রাজ্যের তিন তীর্থযাত্রী। এ বার মোটরচালিত ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক মোটরবাইক আরোহী। মৃত প্রদীপ বাগের (২৫) বাড়ি মেমারির গন্তার গ্রামে। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী কয়েক ঘণ্টা মেমারি-মালডাঙা রাস্তা অবরোধ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মেমারির শঙ্করপুর-বটতলার কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মালডাঙা থেকে মেমারিগামী একটি বাসকে পাশ কাটিয়ে বেরোতে যায় মোটরভ্যানটি। উল্টো দিক থেকে আসছিল মোটরবাইকটি। মুহূর্তে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গুরুতর চোট পান মোটরবাইকের তিন আরোহী। তাঁধের মধ্যে প্রদীপবাবুকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। অন্য দু’জন রবি রায় ও সমীর বাগকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয় রবিবাবুকে।
এ দিকে, ঘটনার পরেই মেমারি-মালডাঙা রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। অবরোধকারীদের দাবি, কাছেই শঙ্করপুর বাসস্ট্যান্ড। অহরহ সেখান থেকে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। অথচ গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও হাম্প নেই। তাঁদের আরও দাবি, রাস্তার দু’ধারে বালি, পাথর, ইট ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে। ফলে রাস্তা সরু হয়ে যাতায়াতে সমস্যা আরও বাড়ে। এ দিনের দুর্ঘটনাও তারই জের বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা বাপি রায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। জনবহুল ওই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হাম্প তৈরির জন্য উদ্যোগ করা হবে বলে আশ্বাস দেয় পুলিশ। দু’পাশের আবর্জনা সাফাইয়ের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।