প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়া আসনগুলির ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে যে সমস্ত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সব আসনে ভোট হয়েছে, সেগুলিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল জেলায়। দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২০টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হতে চলেছে। এর মধ্যে কালনা ২ ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েতেরই বোর্ড তৈরি হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের তরফে আটটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে পঞ্চায়েতের মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রতি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এক জন করে ব্লক কমিটির পর্যবেক্ষকের নামও। বোর্ড গঠন হতে চলেছে পূর্বস্থলী ২ ও কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে কালনা ২ ব্লকে বিরোধীদের তরফে সন্ত্রাসের তেমন অভিযোগ ছিল না। এলাকায় পঞ্চায়েতের ১২৪টি আসনের সব ক’টিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে ১১৮টিতে জিতেছেন শাসক দলের প্রার্থীরা। একটি আসনে নির্দলে প্রার্থী জিতলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ অগস্ট বড়ধামাস ও বৈদ্যপুর, ২৪ অগস্ট আনুখাল এবং অকালপৌষ, ২৫ অগস্ট বাদলা এবং পিন্ডিরা এবং ২৭ অগস্ট সাতগাছিয়া ও কল্যাণপুর পঞ্চায়েতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। সোমবার সিঙেরকোনে একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের তরফে প্রধান, উপপ্রধানদের নাম জানানো হয়। ছিলেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক রাজনৈতিক অতীত এবং এলাকায় ভাবমূর্তির রিপোর্ট জেলা ও রাজ্য স্তরে পাঠানো হয়েছিল। দলীয় পর্যবেক্ষকের নির্দেশে বিধানসভা ধরে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়। কালনা২ ব্লকের কমিটিতে ছিলেন ব্লক সভাপতি, স্থানীয় বিধায়ক ও বিদায়ী জেলা সভাধিপতি। তাঁরাই প্রধান ও উপপ্রধান বেছে নিয়েছেন। ব্লক সভাপতি প্রণববাবু বলেন, ‘‘বাদলা পঞ্চায়েতের প্রধান এ বার উপপ্রধান হতে চলেছেন। তালিকায় বাকি সব নতুন মুখ। পঞ্চায়েতের উন্নয়ন-সহ নানা কাজ যাতে ঠিক ভাবে হয়, তা দেখার জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে।’’