তৃণমূল অফিসে বোমা, গলসিতে দ্বন্দ্বের নালিশ

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘কোনও বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি। কিছু দুষ্কৃতী পেট্রল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪১
Share:

দরজায় পোড়ার দাগ। পুরসায়। নিজস্ব চিত্র

বোমা ছুড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে গলসি ১ ব্লকের পুরসায়। বুধবার রাতের ওই ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কার্যালয়ে থাকা দলীয় পতাকা, একাধিক চেয়ার ও একটি ত্রিপল। একই সঙ্গে দলের গ্রাম কমিটির সভাপতি চাঁদ মহম্মদের নির্মীয়মাণ বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঁদ মহম্মদের অভিযোগ, দলের পোতনা-পুরসা অঞ্চলের প্রধান বিলকিস বেগমের স্বামী কাবুল মল্লিক ও তাঁর দাদা বাগবুল ইসলাম মল্লিক এ কাজে জড়িত। বিষয়টি পুলিশ ও দলের উপর মহলে জানানো হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, জোর করে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।

Advertisement

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘কোনও বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি। কিছু দুষ্কৃতী পেট্রল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর পুরসার মাঝেরপুল বাস স্টপের কাছেই রয়েছে তৃণমূলের গ্রাম কমিটির কার্যালয়। বুধবার বিকেলে এই কার্যালয়ে সমানে অসম কান্ডে ধিক্কার দিবস পালন করেন তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন, বাগবুল ও কাবুলরাও। দলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি ওমর ফারুকের অভিযোগ, গ্রামের কিছু মানুষ দেখেছেন গভীর রাতে লাল রঙের একটি গাড়িতে দুষ্কৃতীরা এসে ওই দলীয় কার্যালয়ে বোমা ছুড়ছে। পর পর কয়েটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে ওই গাড়ি করেই জাতীয় সড়কের পাশে চাঁদ মহম্মদের বাড়িতে গিয়ে তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চাঁদ মহম্মদের দাবি, স্থানীয় লোকজন লাঠি নিয়ে হামলাকারীদের তাড়া করেছিলেন। ওই গাড়ির কাচে লাঠি দিয়ে আঘাতও করেন তাঁরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের কাছেই বাগবুল ইসলামদের হোটেলে একটি লাল গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। কাচে দাগও দেখা যায়। ব্লক কার্যকরী সভাপতির অভিযোগ, ওই গাড়িতে করেই হামলা চালানো হয়েছে। এর পরেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশ হোটলটিতে ভাঙচুর চালান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওমর ফারুকের দাবি, ‘‘গাড়িটিতে পেট্রলের বোতল ও দেশলাই মিলেছে।’’ চাঁদ মহম্মদ বলেন, ‘‘দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বাগবুলেরা কেন এমনটা করল বুঝতে পারছি না।’’

যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ প্রধান বিলকিস বেগম। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ও ভাসুরেরা ব্যবসা করেন। তাছাড়া চাঁদ মহম্মদের সভাতেও তাঁরা গিয়েছিলেন। অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ওই গাড়িটি আমাদের নয়। কেউ ওখানে রেখে গিয়েছিল। সেটার সুযোগ নিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন