পিছিয়ে পড়েও জয়ী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

এশিয়ার ১৬টি দেশ থেকে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় দলকে নিয়ে চিনের জিনজিয়ং শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা।

Advertisement

সুপ্রকাশ চৌধুরী

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

সাফল্য: চিনের মাঠে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় দল। নিজস্ব চিত্র

পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা নেই। তবে জিততে হত সম্মানরক্ষার জন্য। কিন্তু গোড়াতেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল দল। খেলা যখন প্রায় শেষলগ্নে, তখনও পিছিয়ে। সেই পরিস্থিতি থেকে দুরন্ত লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের শেষ ম্যাচ জিতে নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় দল। বৃহস্পতিবার ম্যাকাও বিশ্ববিদ্যালয়কে ২-১ গোলে হারানোর পরে শনিবার তারা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় দলকে সাডেন ডেথে হারাল ৭-৬ গোলে ব্যবধানে।

Advertisement

এশিয়ার ১৬টি দেশ থেকে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় দলকে নিয়ে চিনের জিনজিয়ং শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। ভারত থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দিয়েছে। প্রথম চারটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল বর্ধমান। তবে চতুর্থ ম্যাচ থেকে ছন্দে ফেরে তারা। ম্যাকাও বিশ্ববিদ্যালয়কে হারানোর পরে শনিবার তাদের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হয় বর্ধমান।

এ দিন শুরুতেই দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে বর্ধমান। ৮২ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পরে পরিবর্ত হিসাবে নামা হুলসাই হেমব্রম গোল করে ব্যবধান কমান। এর পরে মরিয়া লড়াই শুরু করেন বর্ধমানের খেলোয়াড়েরা। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় বর্ধমান। গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অভিষেক চক্রবর্তী। আগের ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন অভিষেক। নির্ধারিত সময়ে ফল ২-২ থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকার, তা থেকে সাডেন ডেথে।

Advertisement

টানা দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পেয়ে খুশি বিশ্ববিদ্যালয় দলের সকলে। চিন থেকে ফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস অফিসার সুরজিৎ নন্দী বলেন, ‘‘এখানে আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী দল ছিল। তার উপরে আবহাওয়া, খাওয়াদাওয়া— সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়ও পাওয়া যায়নি। কিন্তু সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরে ছেলেরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পেরেছে। তাতেই জয় এসেছে।’’ সুরিজিৎবাবু এই সাফল্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা, দলের কোচ সুদর্শন বিশ্বাস, সাপোর্ট স্টাফ কাজী নুরুল হুদা, সুজিৎ কাঁড়ার-সহ সকলের অবদানকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।

দলের অধিনায়ক বিজয় দাস বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমরা দেশের প্রতিনিধিত্বও করছিলাম। দেশের সম্মান জড়িত ছিল। তাই শেষ দু’টি খেলায় জিতে আমরা খুশি।’’ প্রতিযোগিতায় চারটি গোল করা অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গোড়ার দিকে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরে আমরা ভাল খেলেছি।’’ দলের সকলের আশা, ভবিষ্যতে আরও ভাল ফল করবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন