—ফাইল চিত্র।
কারিগরি ত্রুটির জন্য ১৮ দিন ধরে বার্নপুর ইস্কোর ব্লাস্ট ফার্নেসে উৎপাদন বন্ধ। কিন্তু এই পরিস্থিতির মাঝেই কারখানার জন্য ভাল খবর দিল কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ইকোনমিক এরিয়ায় (ইইএ) সামগ্রী সরবরাহের জন্য বার্নপুর ইস্কোকে ছাড়পত্র দিয়েছে কনফরমিটে ইউরোপিয়েন (সিই)। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, এর ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবাধে জিনিসপত্র সরবরাহ করা যাবে।
কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার জানান, গত ৩০ অগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রক ও সেল (স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া) এই খবর জানিয়েছে। তিনি জানান, ইইএ-র অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলিতে ইস্পাত সরবরাহের জন্য এই ছাড়পত্র জরুরি ছিল। কোনও জিনিসপত্রে ‘সিই মার্কিং’ থাকার অর্থ, সংশ্লিষ্ট সামগ্রীটি স্বাস্থ্য, পরিবেশের জন্য নিরাপদ।
সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ইস্কোর ইউনিভার্সাল সেকশন মিল বিভাগে’র উৎপাদিত সামগ্রীই এই ছাড়পত্র পেয়েছে। পরে অন্য বিভাগের সামগ্রীগুলিও এই ছাড়পত্র পাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। এই প্রসঙ্গে ইস্কোর সিইও অনির্বাণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ইস্কোর সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হয়েছে। এটা হয়েছে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলের চেষ্টায়।’’
তবে বিদেশে এই প্রথম ইস্কোর জিনিসপত্র যাচ্ছে, এমনটা নয়। এর আগে এই কারখানার জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে নেপাল ও বাংলাদেশে। ভাস্করবাবু জানান, এই ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছিল। কারণ, কারখানার অর্থনীতির জন্যও তা জরুরি ছিল।
এই খবর চাউর হতেই খুশি শ্রমিক সংগঠনগুলিও। আইএনটিইউসির কেন্দ্রীয় নেতা হরজিৎ সিংহ ও সিটুর যুগ্ম সম্পাদক উত্তম চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সবার চেষ্টাতেই এই সাফল্য।’’ ১৮ দিন কেটে যাওয়ার পরেও ফার্নেসটি ঠিক না হওয়ায় তাঁরা চিন্তিত। তবে কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফার্নেসটি বসিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা, পসকো। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থা থেকেও বিশেষজ্ঞেরা এসে মেরামতির কাজ শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় শনিবার বলেন, ‘‘ফার্নেসে কেন আচমকা ত্রুটি হল, সে বিষয়ে ইস্পাতমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ জানাব।’’