বেহাল। নিজস্ব চিত্র
অপরাধের কিনারায় সাহায্য পেতে শিল্পাঞ্চলে রাস্তার পাশে বসানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। পুলিশকে সে ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই বিকল হয়ে গিয়েছে সেগুলির বেশির ভাগ। কেন ক্যামেরাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি, সদুত্তর নেই পুলিশের কাছে। কমিশনারেটের কর্তাদের দাবি, ফের সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-দুর্গাপুরে কমিশনারেট গঠনের পরে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে রাস্তার ধারে সিসি ক্যামেরাগুলি বসানো হয়। আসানসোলে ৯, জামুড়িয়ায় ৭ ও রানিগঞ্জে ৬টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে রাস্তার পরিস্থিতি সরাসরি থানায় বসে দেখতে পাবেন পুলিশকর্তারা। তাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আবার কোনও অপরাধের ঘটনায় ফুটেজ তদন্তের কাজে আসবে।
জামুড়িয়ার সিনেমা মোড়ে তিনটি, মসজিদ গলি, কালী মন্দির, থানা মোড় ও জামুড়িয়া বাজারের কাছে একটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। জামুড়িয়া বণিক সংগঠনের কর্তা অজয় খেতানের অভিযোগ, “বণিক সংগঠন, শিল্পসংস্থা সংগঠন সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যয়ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে প্রশাসনকে সহয়তা করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ক্যামেরাগুলি কোনও দিন চলেনি। ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করায় এমন ঘটেছে, এ কথা আমরা প্রশাসনকে প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছি। কোনও ফল হয়নি।’’ তিনি জানান, প্রশাসন চাইলে তাঁরা ফের সহযোগিতা করতে রাজি। তবে এ বার দক্ষ সংস্থাকে এই কাজের বরাত দিতে হবে, এটাই তাঁদের দাবি। রানিগঞ্জ থানার সামনে এতোয়ারি মোড়, পোস্ট অফিস মোড়, নেতাজি মূর্তির সামনে, তারবাংলা মোড়, স্টেশনের কাছে ও বড়বাজারে একটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, দুই শহরে কোথাও চোরেরা ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে, কোথাও ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই কাজ করতে সরকারি কোনও তহবিল না পাওয়ায় বণিক সংগঠন-সহ বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় পুলিশ-প্রশাসন ক্যামেরাগুলি বসিয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের টাকা না মেলায় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। রানিগঞ্জ থানার আধিকারিকেরা জানান, সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা নিয়েছেন, রানিগঞ্জে ২০টি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সেই সব জায়গাও চিহ্ণিতও করা হয়েছে। জামুড়িয়া থানার তরফেও জানানো হয়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) জে মার্সি বলেন, “সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।’’